সময় পাইনা আর বই পড়িবার।
এখন লেখার সময় আরও বেশি কম।  
নিরিবিলি বসে একা একান্ত গোপনে,
একা ভাবি, কখন হাজির হয় শেষ পরিণতি- যম।
সেলফের বইগুলো ধুলোবালি মাখা,
মাঝে মাঝে দেখি বইপোকাদের উৎসব!
খাতা ও কলম, সবকিছু নীরব নিথর,
ভেঙ্গে গেছে বুঝি সাগর-গর্জন, কলরব।
নীল আকাশের দিকে চোখ মেলে দেখি,
ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় তার।
মেঘের দর্পণে দেখি সূর্যের বর্ণেরা
ভীষণ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে, চমৎকার!
পাখির গানের অর্থ বুঝিনা এখন - কোলাহল মনে হয়;
কংক্রিটের গৃহবন্দি জীবনের পলে পলে
জাগে ভয়, সে কি মরনের শাশ্বত সংশয়?
নদীর ঢেউগুলো তাললয়হীন, ফল্গুতাবিহীন
নিস্তরঙ্গে বয়ে চলে বিধবার মতো,
গোপনে গোপনে চলে বিদায়ের কথা বলে
উর্ধ্বপানে হাত তুলি অবিরাম, অবিরত।
সম্ভব, অসম্ভবের মাঝে- এ ধারণা হলো লীন,
'সুখের বদলে স্বস্তি চাই' এ বাসনা করি প্রতিদিন।
আশার তরঙ্গে যেন নিরাশার বাণী ফণা তুলে তড়পায়;
অতীত ভুলেছি, ভবিষ্যত নিয়ে কানাঘুসা নেই,
বর্তমান শুধু হাহাকার করে যায়।
কমছে চোখের জ্যোতি সতত, মনের শক্তি পাচ্ছে লোপ;
দু'মুঠো খাবার, দুখানা পিরান পেলেইতো খুশি!
তাই, নিয়তঃ কমছে জীবনের ক্ষোভ।
মনের সকল রঙ, সাধ-আহ্লাদ ধূসর হচ্ছে ক্রমে,
চিন্তায়, উদ্দীপনায় শত বছরের পুরনো শ্যাওলা জমে।
রিরংসিত মনে, শরীরের মাঝে
অশরীরীর ভাবনাগুলো ঘুণপোকাদের মতো;
কুরেকুরে খায় চিন্তা ও চেতন অবিরাম, অবিরত।


==================
'একজন পুরুষই পারে,
আগামীকালের একটি সম্ভাব্য ধর্ষণ
বন্ধ করতে'।
==================