ভিক্ষুকটি শুয়ে কেবল দিচ্ছে গড়াগড়ি
শরীর জুড়ে থক্ থকে ঘা করছে ছড়াছড়ি ।
হাঁটা চলায় মানুষ জনের হচ্ছে বড় ব্যঘাত
কারো আবার ঘা দেখে লাগছে মনে আঘাত ।
কি আর করা, দু'চার পয়সা দিচ্ছে তখন ফেলে
এভাবেই ভিক্ষুকের দিন যাচ্ছে বেশ চলে ।


এসব দেখে পাশের ভিক্ষুকের খুব হিংসে হয়
এত সহজে মাল কামানো ? তার আর না সয় ।
একদিন এক ডাক্তার সাহেব যাচ্ছিল পাশ দিয়ে
হঠাৎ সে থমকে দাঁড়াল ভিক্ষুকের কাছে গিয়ে ।
ঘা দেখে তার মনে হল, এটা কঠিন কিছুনা
অল্প কয়দিন চিকিৎসা দিলে ঘায়ের কিছুই রবেনা ।
ডাক্তার সাহেব দরদ দিয়ে বলল ভিক্ষুককে,
টাকা পয়সা ছাড়াই আমি সারব তোমাকে ।
লাফ দিয়ে উঠে ভিক্ষুক ডাক্তারের পা ধরে
বলল, ঘা যদি দাও সেরে, ভিক্ষে কি কেউ দিবে এমন করে ?
তিন পুরুষের যা ছিল, সব গিয়েছে আমার
ঘা টুকুই সম্বল কেবল, নেইকো কিছু আর ।


জোর করে ভিক্ষুকের ঘা হয়ত সারানো যায়
কিন্তু এই ষড়যন্ত্যের ঘা কেমনে সারাব হায় ।
রাজা, উজির, নাজির বসে করছে ষড়যন্ত্র
রাজাকারের বিচারটাই হল সবচেয়ে বড় মন্ত্র ।
একবারে যদি সব রাজাকারের বিচার করা হয়
তবে কি স্বাধীনতার পক্ষ বলে, আর কিছু রয় ?
এক প্রজন্ম চলে যাবে আরেক প্রজন্ম আসবে
রাজাকার রবে আমার ঘরে, বিচার তবু চলবে ।
যতই বলো রাজাকাররা জাতির বড় লজ্জা
রাজা উজিরের ভাগ্য বদলের এরাই বড় কল কবজা ।