তোমাকে ঠকানোটা খুব সোজা
তোমার পেটে লাথি মারাটাও কঠিন কিছুনা ;
তাতে একবুক জলের মধ্যে নামতে হবেনা
কোন কৈফিয়ত নেই, নেই বিবেকের জবাবদিহি,
নষ্ট মনুষ্যত্বের ঘোড়া এভাবেই
লাফ দিচ্ছে দূর্বলের উপর ।


প্রতিদিন কেবল ভাঙ্গনের শব্দ শুনি
স্বচ্ছল মুখগুলো হারাছ্চে তার স্বাভাবিক অবয়ব;
অথচ এরা ঘরপোড়া গরু নয়,
সৎ কর্মে গড়া এদের হাত
ইস্পাত, কঠিন ।
রাতের অন্ধকার ভেদ করে কত অনায়াশেই
ঢেলে দিছ্চে তার অবশিষ্ট জীবনীটুকু ।


পোশাকের মতো যারা প্রতিনিয়ত বদল করছে গাড়ী,
ঝাড়বাতি, মেঝের টাইলস, আসবাব আরো কতকি
তাদের বদল হয়না কেবল মনুষ্যত্ব ও বিবেক ।
হাজার মুখের অন্ন কেড়ে, যায় দারিদ্রবিমোচন সেমিনারে ।
তামাশা আর কাকে বলে !


বিশ্বাস করি, হতাশারাও একদিন বড় হবে
প্রকৃতি বাড়াবে হাত, তার প্রতিশোধের নেশায়
অন্যায় ও অসত্যের বেড়াজালে বন্দি বিবেক
যদি তখনও না জাগে, তবে এখনি শপথ নাও
ওদের গুড়িয়ে দেয়ার ।


বিঃ দ্রঃ কবিতাটি শ্রেণী বৈষম্যের উপর লেখা । মালিক পক্ষ যখন তাদের খেয়াল খুশী
মত কর্মচারীদের ছাটাই করে, তখন একবারও চিন্তা করেনা এই লোকগুলো যাবে কোথায়
এবং তাদের পরিবারগুলোর কি হবে ।