মাটির মমতায় শেষপর্যন্ত আঁকড়ে ধরে শরীর
টলটলে চোখের ঝাপসা দৃষ্টি
ক্রমশ হারিয়ে ফেলে শেষ আলোক বিন্দু ।
কোন এক কাকডাকা ভোরে
শুরু হয়েছিল দূরন্ত ছুটে চলা,
পাখি আর প্রজাপতির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে
ক্লান্ত দুপুরবেলা । নদীর স্রোতে গা ভাসিয়ে
ডুব সাঁতারে লুটোপুটি ।


তারপরও ক্লান্তিহীন পথচলা
সহজের মাঝেও কিছুটা জটিল হওয়া, অথবা
নিজেকে জটিল করে তৈরী করা ।
চারপাশে যখন অসংখ্য কুটিল মুখ
সরলতাকে যখন ঢেকে দেয় দূর্বলতার লজ্জায়
তখন কেবা আর চায় লজ্জায় লাল হতে ।


প্রেমানন্দ কিংবা কষ্টের নীল পাথর
হাসি ও কান্নার বিরতীহিন কলরল
বুকের মধ্যে স্বপ্নের তাজমহল,
সোনালী তোমায় দিব অনেক কিছু ;
আকাশের নীলে স্বপ্নের নীড়,
একটা অনাগত ভবিষ্যৎ, হাটি হাটি পা পা,
প্রতিষ্ঠিত জীবনে তৃপ্তির ঢেকুর, কখনও
অসহ্য বিড়ম্বনা । এত মিথ্যার উপর গড়া
এই অট্রালিকা সাপের মতো দংশন করে বিবেক ।


কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ, যখন
সময়ের ভারে নুইয়ে পড়ে শরীর
মাটির সঙ্গে মিশে যেতে চায়,
বিস্মৃতির অন্ধকারে মিশে যায় আত্মা ।
পিছনে নিরস ভালোবাসা আলো ঝলমল পৃথিবীতে
- বেঁচে থাকে যুগ হতে যুগান্তরে ।