নদীর জলের দিকে তাকিয়ে জরিনার মনে হল,
বিকেলটা আজ বৃথা গেল তার ।
পাথরের উপর শাণ দেয়া ধারালো মুখ
কত কথায় বলা যেত ঝগড়া করে
প্রতিদ্বন্দ্বীও আছে পাশে, অথচ ইস্যু নেই হাতে
ঝগড়া না করলে ঘুম হয়না তার, এটা সবাই জানে ।


শেষে ইস্যু একটা পেল বটে, কিন্তু
ঝগড়া করার উপলক্ষ্য কি তৈরী করা যাবে তাতে ?
তবুও বলেই ফেল্ল, বাড়ীতে আজ
তরকারীর খুব অভাব ছিল, ভাতের সাথে তাই
লবণ সিদ্ধ দিয়ে শেষে ভর্তা করে খাই ।
একথা শুনে একজন ক্ষীণকন্ঠে বল্ল, লবণের
কি আর ভর্তা খাওয়া যায় ? আগুনের
তাপে গলে সেতো পানি হয়ে যায় ।
এবার আর যাবে কোথা ভাই, ঝগড়ার
একটা মওকা পেয়ে, কপালের চামড়া উপরে তুলে
বল্ল, হতচ্ছাড়ী, পোড়ামুখী, লবণের ভর্তা যদি আমি খাই
তাতে তোর কি আসে যায় ?


জরিনার লবণ ভর্তার গল্প হয়ত এখানেই শেষ হয়ে যেত
কিন্তু ছুটির দিনে অবরোধ আর হরতালের না বলা কথা রয়ে যেত ।
যেখানে দেশ আমার, ক্ষমতা আমার, শক্তি আমার
সেখানে ইতিহাসকে উল্টোপথে চালিত করার অধিকারও আছে আমার ।
তাতে তুমি বলবার কে ?