লতা আর পাতায় ঘেরা কুঁড়ে ঘরটি আমার
বাঁশের খুটির উপর খড়ের ছাওনি
তারই ফাঁক গলিয়ে রোদের কিরণ এসে পড়ে,
বাতাসে ভেসে আসে সবুজের নির্মলতা
ইচ্ছে করলেই সবুজে স্নান করা যায়
দু'হাত বাড়িয়ে ধরা যায় সবুজকে ।
পাখি আর প্রজাপতির মিলন মেলা আমার দুয়ারে
আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখি ওদেরকে,
কখনও ক্লান্তি আমায় নিয়ে যায় বহুদূরে
কিন্তু শান্তি আমায় কখনও যায়না ছেড়ে ।


বার বার কালবৈশাখী এসেছে ভয়ংকর রুপ নিয়ে
ভেংগে গুড়িয়ে দিয়েছে আমার কুঁড়ে ঘর
আমি চাপা পড়েছি, আর্তনাদ করিনি, বেঁচে উঠেছি
গভীর উৎসাহে আবার নির্মাণ করেছি আমার ঘর
বাঁশ, খুটি, খড়, রশির সহজলভ্য উপকরণে ।


আকাশ যখন ছুঁতে চাইছে দিগন্তকে
প্রণের আকুতি তখন আরো গভীর করে ভালোবাসতে
প্রকৃতির মায়ায় এক নিরন্তর শান্তির বিছানা আমার
কুড়ে ঘর, ঝুকির রাজ্যে এক নিরাপত্তার চাদর ।
আমি কি পারব তোমাকে ধরে রাখতে ?


কালবৈশাখীর তান্ডবের সাথে আমি যুদ্ধ করেছি
তোমাকে দাঁড় করিয়েছি দিব্যালোকে বার বার,
এবার যুদ্ধ করতে হবে কিছু জানোয়ারের সাথে ।
বেঁচে থাকতে এবং তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে,
কিছুতেই হতে দিবনা আরেকটি ভেজাল কংক্রিটের মৃত্যুকুপ।