বিকেলের নরম রোদের আলোকে, উদোম শরীরে
আমি আরেকবার নদীর কিনার ঘেষে
কাদাজলে মাখামাখি করে, খোরশোলা মাছের সাথে,
বাঁধাহীন খেয়ালী মনে জলের উপর দৌড়াতে চাই
পিছনে বসে থাকা এক মমতাময়ীর দৃষ্টি
ক্রমশ আধাঁরে ঢেকে যাওয়া তার মুখ,
মিহি কন্ঠের ডাক, দ্রত মিলিয়ে যায় দূর চরাচরে;
আমি ফিরে আসি, ওপারে ততক্ষণে ডুবে যায় সূর্য ।


মাঝ নদীতে সাঁতার কাটতে যাওয়া হয়না আমার
প্রতিদিন ইচ্ছে ডানা মেলে, প্রচন্ড স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে ।
বর্ষা শেষ হয়ে শরৎ আসে, ওপারে কাশফুল ফোটে
মসৃন নতুন চরে প্রাণের সন্চার জাগে,
নরম মাটি ফুড়ে মুথা ঘাস মাথা তোলে ।
শুরু হয় স্বপ্নের বীজ বোনা, আবার ফসলের মাঠ ।
ততদিনে ছোট হয়ে আসে নদী, অনায়াসে
সাঁতার কেটে যাওয়া যায় তার মাঝে, কখনও ওপারে ।
তখনও সন্ধ্যা নামে, চেয়ে থাকে  মমতাময়ীর দৃষ্টি,
ক্রমশ আধাঁরে ঢেকে যাওয়া তার মুখ,
মিহি কন্ঠের ডাক, দ্রত মিলিয়ে যায় চারপাশের সবুজে
আমি ফিরে আসি, ওপারে ততক্ষণে ডুবে যায় সূর্য ।


ওগো গোধূলি বেলা, ঢেকে যাওয়া আঁধার
তুমি কি একবার শুনাতে পারোনা আমায়
আমার মমতাময়ীর সেই মিহি কন্ঠের ডাক !
আমি আরেকবার বর্ষার নদীর কিনার ঘেষে
কাদাজলে মাখামাখি করে, খোরশোলা মাছের সাথে
বাঁধাহীন খেয়ালী মনে জলের উপর দৌড়াতে চাই ।
ইট পাথরের এই প্রাণহীন নগরে প্রতিদিন
দৌড়াতে  দৌড়াতে আমি বড্ড ক্লান্ত ।