জোর করে মাঠে নামিয়ে দেয়া ফুটবল প্লেয়ার আমি । বল দৌড়াতে থাকলে দেখতাম আমার ছোট ছোট পা দুটোও দৌড়াচ্ছে । তারপর হাত দুটো একদিন কোদাল ধরা শিখলো, আমার কৃষক বাবার ইচ্ছে না থাকলেও  ছেলের মধ্যে তখন প্রবল দায়িত্ববোধ জেগে উঠেছে । কোন কোন বিকেল কায়িক শ্রমে ফর্সা হয়ে উঠলে কিছু সকালও সূর্যের মতো সত্য হয়ে উঠতো জন্মঋণ পরিশোধ করার জন্য । অথচ কখনো হাঁপিয়ে উঠতাম না ।


তারপর একদিন লায়লার হাতে প্রথম ফুল তুলে দিতে গিয়ে বন্ধুর কাছে আর্জি করলাম ভালোবাসার । তিন মাস পর অন্ধকার রাতে কবরস্থান পাড়ি দিতে গিয়ে ভূতের ভয়ে কলমিলতায় পা জড়ালো । দিলাম দৌড় । তারপর থেকে শুরু হলো আমার হাঁপিয়ে উঠা...


এখন প্রতিদিন পিচঢালা পথে যুদ্ধ করে একটু আয়েশি ছায়া পেলে বুকের মধ্যে হঠাৎ ধক করে উঠে সব বর্ণমালার ব্যবচ্ছেদ হয়, তখন মেহেদি পাতায় তুলে রাখা লম্বা একটা শ্বাস নিতে পারলে মনে হয় পৃথিবীটা আবার হেসে উঠবে ।