আমি তো কতবার কতভাবে সবাইকে বলেছি
আমি ঈমানদার নই, কিন্তু বেঈমানও নই, ভন্ড নই!
আমি ধর্মের লেবাস পরে অধর্মের কাজও করিনা।
আমি ধর্মের নামে নতুন নতুন রসম রেওয়াজ উদ্ভাবন করে
মানুষকে বিভ্রান্তও করি না-মানুষের কাছে ভিক্ষার থলি নিয়ে
দ্বারে দ্বারে শয়তানরূপ ধারণ করি না!
একাকী বেগানা নারী পেয়েও লোভাতুর হই না।
হক মওলা বলে, তোর ক্ষতি হবে-তোর ছেলের সর্বনাশ বলে
প্রতারণার জাল ফেলে মাছ শিকার করি না।


আমি খাজা বাবার নাম ভাঙিয়ে, বড় পীরের গোর বানিয়ে
বছর বছর ওরশের নামে মদ-জুয়ার আসর বসিয়ে
কোন বনি আদমকে বলিনা, লালসালু কাপড়ে ঢেকে দাও।
সিজদা দাও, কবুল হবে তোমার মনো বাসনা।
এসো আমি তোমাকে মুক্তি দেব।
আমার ঈমান বলে, তুমি মুক্তি দেওয়ার কে?
তুমি সাহায্য করার কে?
তুমি ফরিয়াদ শোনার কে?
জগতের মালিক তাহলে আছে কি জন্যে?


মানুষের মুক্তির পথ, হেদায়েতের পথ
নবী-রাসূল-সালেহীনের দেখানো পথে হতে হবে।
আর কোন তরিকা নাই-একটাই তরিকা
নবী মুহাম্মদের (স) তরিকা-যারা নিত্য নতুন তরিকার কথা বলে
মানুষের ঈমান ধ্বংসের খেলায় মেতেছে
ধ্বংস হোক তার হস্ত সমূহ-আবু লাহাবের মতো।
যারা নবীর নামে কুৎসা রটায়, ব্যঙ্গ চিত্র বানায়
যারা তার প্রতিবাদ করে না, ঘৃণা করে না
তলে তলে তাদের সাথে বড় পিরিত,
তারা কি দ্বীনের শত্রু নয়?
আমি তাদের মাঝে কোন পার্থক্য কী আছে?
আমি অতি ঈমানদার বলে নিজেকে দাবী করি না
কিন্তু ধর্মের লেবাসে যারা দ্বীনকে বিকৃত করে হক্ বলে দাবী করে,
খোদাদ্রোহীদের সাথে উঠাবসা করে, বিভেদের প্রাচীর তৈরি করে
আমি তাদের ভন্ডামীকে কোনক্রমে মেনে নিতে পারি না।
*****