জীবন তো আর তিন ঘন্টার সিনেমা নয়, অনেক সংগ্রাম
ত্যাগ-তিতিক্ষা, রোগ-শোক, ব্যথা-ব্যাধি, শ্রমিকের ঘাম
এক ঘন্টার নাটক, ছোট গল্প শেষ হয়েও হয় না শেষ
দুঃখ-যাতনা, বিরহ-দহন, চাওয়া-পাওয়া, ক্লান্তি-ক্লেশ।


রমনীর গায়ের ঘ্রাণ, যে পুরুষ পেয়েছে একটিবার
ভয়-ভীতি, প্রেম-প্রীতি, স্নেহ-মায়া, ত্যাগ পরিবার
উর্ধ্বে চলে যায় সবই, হিতাহিত সে বুঝে না আর
হারিয়ে দু’কুল এদিক-ওদিক, ফেরা হয় না তার।


কাছে যে জন থাকে, শত অনুরোধ, সহায় সম্বল
রাত-বিরাত কেটে যায়; তুচ্ছ থালা-বাটি কম্বল
মনেতে লাগে না বিষন্নতা, কেন যেন কারো লাগি
স্মৃতি সম্ভার, ভালবাসা অফুরান, বিরহী রাত জাগি!


একসময় দুয়ারে দাঁড়ায়, সীমাহীন অভাব-অনটন
ভালবাসা পালিয়ে যেতে, লাগে না আর বেশীক্ষণ
প্রতিক্ষণে খুনসুঁটি, অভিযোগ, মিল-অমিলের খোটা
ঘর পালানো প্রেম রয় না বেশীক্ষণ, হয় বিষকাঁটা।


অল্প বয়সে সংসার নামক তরীটি বইতে বড় ভার
দু’টি মনের আবেগের ঠেলা সইতে পারে না আর।
সিদ্ধান্তহীনতায় দু’জন যখন ভেবে দিশা নাহি পায়
এরই মাঝে তৃতীয় পক্ষ তখন সুযোগ পেয়ে যায়।


বিত্ত-বৈভব, গ্ল্যামার গার্ল  ভীষণ হ্যান্ডসাম যুবক
একজন তখন পুরাতন ছেড়ে নতুনের আশায় উন্মুখ,
ভালবাসা আজ ফিকে হল অজস্র ভুলে ভরা সবই
ঠুনকো বাঁধন নিঠুর ভাগ্য, হারায়ে এখন ভাবি!


এই ছিল তার ভাগ্য লিপি জীবন-মরণের খেলা
পথই হলো তার ঠিকানা, সঙ্গী বিহীন একলা
ভুল পথে চললে কখনো হয় না পথের ক্ষতি
যে জন গেছে সে জন ডুবেছে এটাই নিয়তি!