ইদানীং একটি ভাবনা এসে আমার উপর ভর করেছে
নিরাপত্তা, সংশয়, বেদনাপীড়িত মনটা।
যখন অদম্য চলার ঈপ্সিত বাসনা পেয়ে যায়
ছুটে চলি শেকড়ের সন্ধানে।
তামাম দ্বিধা-সংকোচ ঝেড়ে ফেলে
কারো রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে
বলি এই দেশ-মাটি, আকাশ-বাতাস আমার,
এই মাটিতে আমার জন্ম,
এই মাটির প্রতিটি ধূলিকণা আমার শরীরে-রক্তে মিশে আছে
আমার প্রতিটি হৃৎস্পন্দন জন্মভুমির চতুর্সীমানাকে ঘিরেই।
কেন আমার প্রতিটি পদক্ষেপে তোমার শ্যেন দৃষ্টি?
আমি তো পানিতে ভেসে আসা কোন শ্যাওলা নই।


মানুষের দীর্ঘশ্বাস বড়ই কষ্টের, কঠোর চাহনি
নিপীড়িতের হাহাকার, বঞ্চিতের বেদনা
হৃদয়ের আর্তনাদ, তোমান কর্ণকুহরে স্পশ করে নি।
তোমার কুৎসিত মনেবৃত্তি, জিঘাংসার লোলুপ দৃষ্টিতে
শান্তির শ্বেত-কপোত রক্তাক্ত।
বিভেদ বড়ই নিষ্ঠুরতা,
তোমার ভেবে দেখার অবকাশ কই?
আমার অক্ষমতা কাউকে অভিশাপ দিতে পারি না
কাউকে কষ্ট দিতে পারি না
কারো মনে ব্যথা দিতে পারি না।
ভেদ-অভেদ বুঝিনা,
মানুষের কল্যাণ কামনাই আমার ধর্ম।
জানি, হা-হুতাশ করে লাভ হবে না
ঝড়-ঝাপটা নিয়তিতে আছে
কিন্তু এত কিছু সইবার মতো পাষাণ হৃদয় আমার চাই।
কেউ একজন এসেছিল
ভাবলেশহীন মুখচ্ছবি তার
আমি দেখতে পাচ্ছি তার হৃদয়ের আর্তি
বলছে যেন এই মাটিই সবার ঠিকানা।