মাতৃভাষা দিবস
মহাদেব দাশ


নোবেলজয়ী বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর লিখেছিলেন
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতন।
এটা তার ব্যক্তিগত অনুভুতি নয়, সকলের চিরন্তন অনুভুতি
মাতৃভাষা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মৌলিক প্রকৃতি।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রয়ারীতে পূর্ব বাংলার জনগনের
অর্জিত হয়েছিল মাতৃভাষার মর্যাদা, বিনিময়ে তাজা রক্তের।
মাতৃভাষা শুধু মায়ের মুখের বুলি নয়, একটি দেশের ভাষা
আমার অহংকার, প্রাণের স্পন্দন, বাংলা বাঙ্গালীর মাতৃভাষা।
মাতৃভাষাতে মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রে তৃপ্তি ও পরিপূর্নতা পাই
শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান চর্চা শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিকাশ ঘটাই।
১৯৪৭ সালে জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দু ভাষা জারি করে
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারী  বাঙ্গালীরা ১৪৪ ধারা ভংগ করে।
রফিক শফিক সালাম জব্বার বরকত সহ বাঙ্গালীরা প্রাণ দিল
ঢাকার রাজপথ লাল করে পাকিস্থানী আর্মিরা পিছুপা হটিল।
মাতৃভাষার জন্য জীবন দেয়ার ইতিহাস কোন দেশে নাই
বাঙ্গালীরা একুশে ফেব্রæয়ারী শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা জানাই।
১৯৯৯ সলের ১৭ ই নভেম্বর আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি পেল
ইউনেসকো সম্মেলনে মাতৃভাষা দিবসকে ঘোষনা করল।
জাতিসংঘের ১৮৮টি দেশ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বিশ্বমর্যাদা পায়
পৃথিবীর সকল জাতির মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান বাড়ায়।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী কভু ভুলি নাই
গান গেয়ে বিন¤্র পায়ে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।