আজ রাতের ট্রেনে রওনা হচ্ছি-
খুব মনে পড়ছিল তোমায়
কষ্টও হচ্ছিল ভীষণ -
আর পারছিনা তোমায় ছেড়ে থাকতে
তাই নিজেই রওনা হয়েছি আরকিছু না ভেবে।।
শুধু একটি বার চোখের দেখা দেখবো,
দুদিন বাদেই আবার ফিরে আসবো দেশে।
আমার আসার চিঠিটি পেয়েছ নিশ্চয়ই
ঠিকানা বদল হয়নি জানি, তাই
আশা করছি কলকাতার মাটিতে পা ফেলেই
তোমার মুখটি দেখবো সবার আগে .....
চিনতে পারবে তো আমায়!!
কতদিন দিন হলো দেখা হয়নি,
টেলিফোনে কথাও হয়না আজকাল।
তোমার পুরনো একটা ছবি ছিল
খুব যত্নকরে রেখেছিলাম
সেটিও সংগে নিয়েছি,
বলা তো যায়না -
যদি স্টেশনে তোমায় খুঁজে না পাই
যদি তোমার ঠিকানাটি বদলে যায়
তবে এইছবি দেখলে লোকে তোমায় চিনে
ঠিক আমায় পৌছে দেবে তোমার কাছে।
ওখানে তুমিতো আর সাধারণ কেউ নও
শুনেছি ওখানে তোমার মস্ত নামডাক।
তবে আমার কাছে তুমি সে সাধারণ মানুষটিই আছো
যে আমায় প্রতিদিন গান শোনাতে
কবিতা বলতে, ঝগড়াও কম হয়নি।
মান অভিমানের এক পর্যায়ে এসে
খেপি- পাগলী বলে বুকে জড়িয়ে ধরতে।
আমি জানি, দূর থেকেই সেই নামটি
বাজতে থাকবে আমার কান থেকে প্রাণে,
ট্রেন থেকে নেমেই তোমার মুখটি
সকলের আগে দেখতে পাবো,
তুমি দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরবে।
অনেক দিনের কষ্ট আর অভিমানে
জমে  থাকা মেঘ গলে বৃষ্টি ঝরবে আমার চোখে
সেই জলে আমি ভিজবো
তুমিও ভিজবে-
আর ভিজবে কলকাতা শহরের মাটি......


বৃষ্টিরানী
৩০ এপ্রিল, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ