আমার সুকান্ত কবি
দরজায় ঠক্ঠক্  শব্দ শুনে বুঝতে পারি
ওরা এসেছে-
কপাট আরও শক্ত করে এটে দিই
আর অভিমানের প্রলাপ গুনি ;
না, এই বন্ধ দরজা খোলা হবে না
যতক্ষণ না সে আসে-
যতক্ষণ না তার পায়ের শব্দ শুনি।


ওরা অপেক্ষায় বসে থাকে বাইরের বেঞ্চিতে
নেই ভিতরে প্রবেশের অধিকার;
ওরা অপেক্ষা করে তার জন্য
ঘরের ভিতরে বেহাগে বাজে কান্নার আওয়াজ
কখনো  কখনো মৃদু চিৎকার।


ওরা তো সকলই জানে-
জানে কোন অভিমানে ভরেছে হদয়
কোন পাষাণে ভাঙলো এই প্রলয়ডোর;
কার অপেক্ষায় কেঁদে ভাসাই বুক
জানে, নিশ্চিত কোনো একদিন এসে
অরুণ আলোয় রাঙাবে রৌদ্র ভোর।
আকাশে মেঘ গর্জায়, বৃষ্টি নামে
শুরু হয় বিষন্নতার প্রহর
উঠানে শব্দ আর জলের কোলাহল;
জানি সে তখনও আসে নাই,
তবু খুলে যায় অন্ধকারের কপাট
তখনও বইছে চোখে অগাধ শোকের জল।
সেই একরোখা স্বভাব ওদের
গাঢ় অন্ধকারে আসন পেতে বসে
পুরো ঘর জুড়ে কবিতা আর শব্দের সহবাস;
প্রেমের পাত্র ভরে দেয় সাবলীল ছন্দে
সংকোচহীনভাবে ঢেলে দেয় গীতরস
ধীরে ধীরে শুষ্ক মরুর বুকে গজে উঠে ঘাস।


সে  তখনও আসে নাই, চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় অন্তিম হৃদয়
বিরহের প্রলেপ আঁটা কবিতার  প্রচ্ছদে
ভেসে ওঠে তার সুকমল মুখচ্ছবি ;
এমনই বৃষ্টির জল, কখনো রৌদ্রবিন্দুর মত
কবিতার স্তবকে স্তবকে সে ছুঁয়ে থাকে-
সে আমার বিষন্ন চোখের আলো,
সে আমার সুকান্ত কবি!


রচনাকাল: ০৯/০৭/২০২১,
রাত ০২:৩৪ মি: