যখন ভাবি আমার কোথাও কেউ নেই, কিছু নেই
জগতের সকল অন্ধকার কেবল আমারই ঘরে
পাশ ফিরে দেখি, তার চেয়েও জনম দুঃখি সেই
রোদ বৃষ্টিতে ঘর হারা, দাড়িয়ে থাকে পথের পরে।।


কখনো শ্রাবণের আকাশ কালো মেঘে যায় ঢেকে
ঘর ভেসে যায় লোনা জলে, ভাবি সবই গলে তলে
ভাবিনি তাকে একবার, স্বজন যার নাম ধরে ডাকে
সেই মাঝি আজো ফেরে নি, যে ডুবে গেছে অথই জলে।।


যখন ভাবি কোন কালে আর বুঝি হবেনা সাধ পূরণ
দেখতে চেয়েছি পর্বত-গিরি, ঘুরতে চেয়েছি বনান্তর
রাতদিন অমাবশ্যার অন্ধকার যাকে করেছে হরণ
একবারও তো আমি রাখিনি সেই জন্মান্ধের খবর।।


কখনো বা দু’চোখ রক্তে ভিজে ধূলোর ঝড় মেখে
গোধুলীর রঙ দেখে ভয়ে মরি অজানা আশঙ্কায়
কখনো কান পাতিনি কি বাজে সেই মানুষটির বুকে
যার বুকের হার ভাঙ্গে প্রতিনিয়ত বজ্রের বেদনায়?


অভাবের তীব্র জালায় যার ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় দেহ
মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে যে প্রহর গুণে যায় প্রতিনিয়ত
শুধু যদি একবার ছায়া হই তার, যার নেই কোন গৃহ
এক নিমিশে আমার সকল ব্যথা হোক তবে নত ।।


১২ ডিসেম্বর, ২০১৬