নয়টি মাস মায়ের গর্ভে জন্মের যুদ্ধ করেছি আমি
দেখেছি জানোয়ারের দৌরাত্ম্য মায়ের উঠোনে-
তারপর জন্ম হল আমার, নাম রেখেছে বিজয়
জড়ায়েছি মাকে লাল-সবুজ খুশির আচ্ছাদনে ।।


চোখ মেলেই দেখেছিলাম মায়ের সূর্যমাখা হাসি
প্রথম ঘুমিয়েছিলাম মানচিত্র আঁকা ছো্ট আঁচলে
বিজয়ের উল্লাসে নৃত্য করেছিল প্রতিটি মানুষ
গান বেধেছিল পথের বাউল আমারই নাম বলে ।।


প্রতিদিন বিজয়ের পতাকা উড়াই মায়ের উঠোনে
আমি হয়ে উঠি রাতের চাঁদ, সিঁদুরে সুর্য আঁঁকি
সকালের রোদ মাখা সবুজ স্বপ্ন বুনি দুই চোখে
গান গাই বিজয়ের, হয়ে উঠি ভোরের পাখি ।।


যেদিন আমার নাড়ি পুতেছিল কাঁদা মাটির গর্ভে
সেদিনই আমি হয়ে উঠেছিলাম মা-মাটির সন্তান
যখন দেখি পতাকার উপর রাজাকারের দাপাদাপি
বিজয়ের হাসি আর মা-মাটির গর্ব, হয়ে উঠে ম্লান ।।


মাঠের পর মাঠ ভেসে যায় জলে, কখনো বৃষ্টিবিহীন
আমি রোজ খেলা করি ধুলো মেখে, হয়ে উঠি উত্তাল
আমার বিজয়ের খেলা কেবলই থেমে যায় ভয়ে,
যখন দেখি সূর্য উঠে, আলো নয়, রক্ত মাখা লাল ।।


মাকে আজও বেঁধে রাখে আষ্টেপৃষ্ঠে বিবর্ণ পতাকা
আজও শকুনের তান্ডব দেখি, রক্ত মাখে আঁচলে
আমি কিছুতই ভাঙতে দিই না মায়ের দুর্লভ মুর্তি
হয়ে উঠি বিদ্রোহী, আমি যে তার বিজয় ছেলে ।।


১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬