আমি এখনো সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায়
দাঁড়িয়ে থাকি সেই রাস্তায়
কাঁদা-পানি কিংবা রোদ উপেক্ষা করে
তাকে দেখবো বলে।।
সেই মেয়েটি কে আর চোখে পড়েনা
শোনা যায়না তার নূপুরের শব্দ
পাইনা তার আধো ঢাকা শরীরের ঘাম
আর মাটি মাটি গন্ধ।।
মেয়েটি রোজ নাইতে আসতো নদীর ঘাটে
ভেজা চুল রোদে শুকাতে শুকাতে ফির তো ঘরে
আমি তার দিকে চেয়ে থাকতাম, অনেক দূরে-
ভেজা চুল থেকে ঝরে পড়তো কয়েক ফোঁটা পানি
মনে হতো শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরছে আমার চোখে মুখে,
কত রৌদ্র দুপুর পার করেছি সেই বৃষ্টি মেখে।।
আমি এখনও তার জন্য বসে থাকি ঘাটে
কখনো দাঁড়িয়ে থাকি রাস্তায়
যদি সে আবার কখনো নাইতে আসে
প্রতিটি দিন কাটে সেই অপেক্ষায়।।
আমি সেই মেয়েটির নাম জানিনা-
জানিনা তার  ঠিকানা-
শুধু একটাই পথ চিনি
যেই পথে সে রোজ ঘাটে আসতো-
ভেজা আঁচলে শরীর ঢেকে ফিরতো একই পথে
আজও আমার দুই চোখ তাকে খুঁজে ফিরে।।
জানিনা হয়তো তার ঠিকানা বদলেছে-
তার ঘাট হয়েছে ভিন্ন, কিংবা
এখন সে সাঁতার কাটে ভরা সমুদ্রে
আর সমুদ্র পারে রোদেই শুকিয়ে যায়
তার ভেজা আঁচল, বৃষ্টিমাখা চুল।।
আজো আমি বসে থাকি মাঠে, ঘাটে, বারান্দায়
শুধু তার অপেক্ষায়-
আমার রৌদ্র ভরা দিন,
শ্রাবণের বিকেল
শান্ত চোখ
সবটাই ভিজিয়ে দিয়ে যায় আনমনে
তার ভেজা চুল থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টির জল ।।
৮ ডিসেম্বর ২০১৬।।