বৃষ্টিরানীর কবিতা
.......................
আমার কলমের শুধু একফোটা কালি
হয়ে উঠতে পারে একটি নক্ষত্র আকাশে ;
যা দূর করবে মেঘ আর ঘন কুয়াশা
অন্ধকারেও সে জ্বলে উঠবে হেসে ।।


আমার কবিতার শুধু ছোট্ট একটি শব্দ
হতে পারে পাথরবুকে বজ্রেরই মত;
বৃষ্টি ঝরতো, যেখানে কেবলই মরু,
বন্ধ দুয়ারে কেবলই বাড়ছে ক্ষত ।।


জেগে উঠতে পারে আমার অব্যক্ত কথারা
যারা মুখ ঢেকে ঘুমায় নীরবতার চাদরে ;
শিয়রে জ্বেলে দিতে পারে মাটির প্রদীপ
যারা সারারাত্রি ডুবে থাকে ব্যথার সাগরে ।।


আমি শূন্য কাগজে আঁকতে পারি রামধনু
মুছে দিতে পারি সব ঝড়ের বেদন;
সুখের খবর পৌঁছে দিতে পারি ঘরে
যেখানে মায়ের কোলে শুনি শিশুর রোদন ।।


আমার কেবল একটি কবিতার ছন্দ
স্বপ্ন আঁকতে পারে কিশোরীর চোখে
নাচের তালে জাগাতে পারে দেবতারে
শক্ত পায়ে দাঁড়াতে পারে মাটির বুকে ।।


আমি সুর তুলতে পারি শূন্য বাগানে
বারবার ফিরে আসবে ফুলের মৌসুম ;
প্রজাপতির পাখায় শিশুর দোলনা দুলবে
মায়ের চোখে নেমে আসবে স্বস্তির ঘুম ।।


আমার পান্ডুলিপি হতে শাড়ির আঁচল
জড়ায়ে রাখতে পরি পথের শিশুটিরে ;
যে আজো জানে না তার ঠিকানা কোথায়
তারে বাঁধতে পারি মিষ্টি কথার চাদরে ।।


আমার গ্লানি অার কান্নার লোনাজলে
খরস্রোতা হতে পারে এক মরা নদী ;
তীর খুঁজে নিতো পথ হারা কোনো মাঝি
তবে আমার চোখ ঝরেই যাক নিরবধি ।।


সকল শূণ্যতা ভরে থাকুক কালির আঁচড়ে
কাগজের বুকে আছড়ে পড়ুক অব্যক্ত কথা ;
যারা কবিতার হাত ধরে থামিয়ে দেয় পথে
তোমরা শোন-
আমি থামবো না, আমি ভাঙ্গবো নিরবতা ।।


(যখন মনে করেছি কবিতা থেমে যাবে, তখনকার অনুভূতির প্রকাশ এই লেখা)


১৩ নভেম্বর ২০১৬।।