ক্রুশবিদ্ধ যন্ত্রণা
========
ক্রুশকাষ্ঠে তাঁর মৃত্যুর যন্ত্রণা দেখেছি
বেদনার লাল রক্তে ছেয়ে গেছে পথ
আমি ঐ পথ এড়িয়ে গেছি আশঙ্কায়
বারবার ভিন্ন পথে ছুটে গেছে  রথ ।।


এখনও ভেসে আসে সেই কান্নার ধ্বনি
ধূলিপথ ভরে উঠে কেবলই অশ্রুপাতে
কন্ঠদেশ রোধ হয়ে আসে ব্যর্থ বিলাপে
আমার তরী পাল তোলে অন্যস্রোতে ।।


কালভেরীর পর্বত বুকে এখনও  হাহাকার
নিজেরে আড়াল রাখি সংকীর্ণ গহবরে
বিষাদের নীল ছায়া বুঝি পড়ে না এইখানে
একাকী নিমগ্ন রই সকল ক্লেশ সংহারে ।।


আমি জন্মান্ধের মত পড়ে রই অন্ধকূপে
পার হই জ্বালাময় গিড়ির সুতীব্র দহন
রাতদিন থাকি নির্জন কারাবাসে আবদ্ধ
যেনো  না শুনি ঐ ক্রুশকাষ্ঠের রোদন ।।


শরীর জুড়ে দেখেছি কত পাথুরে প্রলেপ
মৃত্যুর করাল গ্রাসে থেমে যায় নিঃশ্বাস
শরীর বিদীর্ণ করে ঘটে অত্মার আবির্ভাব
এ তো নয় অলিক-ভ্রান্ত , নয় অবিশ্বাস ।।


এ যে নিখুঁত নিয়তি জীবনের অনিবার্য
নেই কোনো উপায় মিছেই লুকানোর ছল
তুলে আনবে তীরে অতল গহ্বর থেকে
মিছেই খুঁজি মরণকে এড়ানোর কৌশল ।।


ক্রুশকাষ্টে তাঁর মৃত্যু যন্ত্রনা দেখে দেখে
নিস্তার পেতে করেছি বহুদূরে পলায়ন
সেই মৃত্যু ছাড়েনা পিছু, ভুলেনা কিছুতেই
বলে, "এসো, এ পথেই হবে স্বর্গে গমন।।"


অবশেষে ভয় ভুলে কালভেরী পর্বতে ছুটি
মৃত্যু যন্ত্রণার ক্রুশ ন্যাস্ত হোক নিজ কাঁধে
দাও আমায় বিধি সেই চির শ্বাশত বিধান
ঘুচাও দন্ড, না রই যেন পাপ-অপরাধে ।।


২ নভেম্বর, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ।
(মৃতলোকের স্মরণ দিবস)