জানি আমার এই দৈন্যের মুক্তি মিলবে না কোনদিন
তবুও জন্মের তরেই
জন্মের কাছে রয়ে গেছে চিরঋণ ।।
কার কাছে দেবো কাতর অভিযোগ
কে দেবে গৌরবের আশ্বাস
প্রমোদে মিটাবে পিপাসিত দুর্ভোগ ।।


ম্লানমুখে চাই আকাশ পানে
কেবল দূরের  ঐ তারারা জানে
আমার সঞ্চিত যত ধন
কেঁড়ে নিয়ে গেছে সেই  জন
তবুও তাঁর নাম জপি বেহাগ অভিমানে ।।


দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি-
মনে হয় দৈন্যের জীবন বড় ভারি
আমার ক্ষয় করে জীবনের আয়ু
তার বুকে বয় বিশুদ্ধ বায়ু
তার বাগিচায় আলোয় আগার
দিয়ে গেছে আমায় সকল আঁধার
জীবন জুড়ে শতছিন্ন বস্ত্রের আবরণ
জানি সে আর আমায় করবে না ভরণ
আমি বেঁচে আছি বেধে জড়াজীর্ণ এক বাড়ি ।।