ঐ শোনো, ইয়াস আসছে!!
হতাশার বেগও বাড়ছে ধীরে
ঘূর্ণিপাকে জীবনটা দোলাতে দোলাতে
হয়তো ফেলে দিবে নিশ্চিহ্নপুরে।
তবুও তার জন্য কবিতা লেখা-
জল রঙের স্বপ্ন দেখা
জানালার কার্ণিশে চোখ রেখে
প্রিয়ার মুখের নিপুন ছবি আঁকা।


হতাশায় গম্ভীর আক্রোশে
পাখির ডানা ভাঙবে, ঘর ভাঙবে
সাংঘর্ষিক বায়ুর সাথে গাছের শিকড়
চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে নূয়ে পড়বে মাটিতে।
হতচ্ছাড়া ঘূর্ণির সাথে মিলবে মানুষের চিৎকার-
বজ্রের সাথে বজ্রের হবে দারুন মাখামাখি।
মানুষে-মানুষে বিদ্রোহ দেখেছি
এবার প্রকৃতির সাথে প্রকৃতির সাথ-
অম্বরের সাথে ধূলির-জলের-স্থলের।
কি অপূর্ব সেই দৃশ্য।
বাসনা তৃপ্ত ক্ষুধিত যৌবনের মত
চিত্ত ভরে উদ্দাম নৃত্যে ঝড়ের ঝাপটায়
স্রোতের কেশ আছড়ে পড়বে তীরে
প্রকৃতির  লাবন্য মুখ লুকাবে
ঝড়ের হুঙ্কারে ।।
সন্ধ্যা নামার আগেই আঁধার নামবে
স্তরে স্তরে জমবে দুঃখ-হতাশা
কারো জীবনে ফুরাবে শ্বাস।
বুকের গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসবে ডাক-
”কোথায় আছো ঈশ্বর-ভগবান”
অঞ্জলি ভরা কেবল রোদন-হাহাকার।
ক্ষিপ্র পায়ে এগিয়ে আসবে ঝড়
প্রণয়নৃত্যে ভরবে উপাসনা গৃহ।
তারপর শান্ত হবে ইয়াস-ঝড়ের তাণ্ডব
তাঁরই গম্ভীর ইশারায় ।।