সুক্ষ সূত্র প্রয়োগে বিধি গড়লো দেহের ছাঁচ
তারই উপর নানান ঢঙ্গে করলো কারুকাজ ।।
বিনা সুতায় ছাড়লো তারে মাটির ধরা তলে
ইচ্ছে হলেই তাঁর খেয়ালে আবার নেবে তুলে ।।
বুকের ভিতর অচিন পাখির দিল বেঁধে বাসা
সেই পাখিটা জীবন জুড়ে কেবল কাঁদা হাসা ।।
কর্মশক্তি, তেজ ও বীর্য অঙ্গে করলো ধারণ
বহুযত্নে অন্তরাত্মায় পোষলো জ্ঞান ও মনন ।।
স্রষ্টা তিনি শিল্পি তিনি নেশাই জীবন গড়া
না আলোতে, না আঁধারে দেয়না কারেও ধরা ।।
কেউ বা হলো মহাপাপী, কেহ বা মহাগুনী
অধরাতেই থেকে গুরু, কেবল শোনায় বাণী ।।
কর্মযজ্ঞে মানুষ সদাই, ছুটছে বাঁচার মোহে
জীবন দিলে, সেই জীবনের ভার তিনি না বহে।।
একই হাতে তৈরি তবু হাজার সুক্ষ প্রভেদ
কেউবা সুখে বিভোর, কারো মৃত্যুসম খেদ ।।
একই রবি এক আকাশে নিত্য জাগে ডোবে
কেউ আলোতে সরব আবার, কেউ বা কাঁদে ক্ষোভে ।।
হরেক নেশায় ছুটছি সবাই নানান কাজের ছলে
কারো বসত রাজপ্রাসাদে, কেউবা গাছের তলে।।
মত্ত থাকি যতই আমরা অর্থ বিত্ত মোহে
সময় হলে এক মাটিতেই মিশতে হবে দেহে ।।
ক্ষণকালের হই অতিথি অধোলোকে সবাই
তাঁর ইশারা না পেলে যে ফেরার উপায় নাই ।।
স্রষ্টা তিনি আড়াল থেকে করছে নজরদারী
বিনা বাক্যে মারবে যাদের পাপে বোঝা ভারি।।
যজ্ঞ করি, ক্রোধও করি, কিংবা অহংবোধে
রাখবে শেষে স্বর্গে কিংবা জ্বালবে অপরাধে ।।
সে দয়াময় স্রষ্টা আমার তিনিই দেব ও দাতা
সময় থাকতে তাঁর চরণে নোয়াই যেন মাথা ।।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ