কবিতা মেয়ে
===============..
সবাই তোমায় যেই নামেই ডাকুক না কেন
আমি তোমায় কবিতা মেয়ে বলেই ডাকি
নাইবা হলো তা ডাকার মত কোন নাম
তার প্রতিধ্বনি পাহাড়ের বুকে বেঁঁধে রাখি।।


কখনো দেখিনি আমি তোমায়, ইচ্ছেও করেনি
কাছে ডাকনি, তবুও হয়নি এতটুকুও অভিমান
কি রূপ তোমার মেয়ে, লতা, নাকি ঝরণার মত?
বুকের গভীরে দীঘির জলে বয়ে চলো আবিরাম ।।


যখন কবিতারা ভাবনায়, ভাবি তুমি এসে দাড়ালে
আমার ছন্দ ঝর্ণার মত বয়ে চলে তোমায় ছুঁঁয়ে
পাহাড়ে ফুল ফোটে, পাষাণের চোখে ঘুম ভাঙ্গে
তোমার স্পর্শ পেয়ে, জানো কি কবিতা মেয়ে ??


তোমার বয়স কত? থাকনা পড়ে দুটি সংখ্যা মাত্র
যদি এভাবেই ভালবাসি, যদি এভাবেই কাছে থাকি
এক একটা দিন হবে, হাজারটা দিনের সমান
চলো বাকী দিনগুলোকে মধুময় স্বপ্নে ভরে রাখি ।।


সবাই তোমায় হাজার বছর ধরে জানুক না কেন
একটু একটু করে আমি চিনে নেবো তোমারে
তুমি বয়ে আনো হাজার মানুষের মনের খবর
কেমন করে লুকিয়ে রাখি তোমায় বুকের গভীরে ??


তোমার হাতে আমার নীল কলমটি রেখে
আমি ভেসে বেড়াই আকাশের লীল মহাসমুদ্রে
তুমি রামধনুর সাতটি রঙ মাখো ঐ কম্পিত ঠোঁঁটে
কখনো রাঙাও, কখনো বা ডুবাও কেঁঁদে কেঁঁদে ।।


তুমি যখন কথা কও অভিমানে, যেন বজ্রে ভাঙ্গে মেঘ
আমার সব কথা বৃষ্টি হয়ে ঝরে, রাগে- অনুরাগে
আমার ভাবনার আকাশে ক্লান্ত সাদা বক উড়ে যায়
আমি তোমার কথাই ভাবি, সব ভাবনার আগে ।।


তুমি আমার কবিতা মেয়ে, ঐ নামে ডাকতেই বেশ লাগে
আমার স্বপ্ন তুমি, চোখের তারায় আদেখা রঙিন ভুবন
তোমার ঐ নাম ধরে ডাকলে মেঘেরা ছুটে আসে কাছে
আমি কবিতা ভাসাই সুখে, তুমি হয়ে উঠো মহাপ্লাবন ।।


২৩ অক্টোবর ২০১৬