পথে যেতে যেতে হঠাৎ শোনতে পেলাম
আমার নাম ধরে কেউ ডাকছে।
কণ্ঠটি অতি পরিচিত-অতি আপন মনে হলো।
পেছন ফিরে দেখি-
কেউ একজন আমার দিকে এগিয়ে আসছে-
মুখে একরাশ হাসি,
চোখের চাওনিতে অনেক তৃপ্তি।
তাকে দেখে আমিও আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম,
কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
অজান্তে আমার চোখ থেকে
কয়েকফোটা অশ্রু ঝড়ে পড়ল।
সে হলো আমার “মেঘ”
আমরা দুটি দেহে একটি প্রাণ।
অনেক দিন পর দুজনের দেখা-
অনেকক্ষণ চোখে চোখ রেখে চেয়ে থাকলাম,
অনেকক্ষণ দু’জনে স্থির হয়ে রইলাম-
চেয়ে চেয়েও যেন দেখার সাধ মেটেনা।
এতকাছে আর বুকে জড়িয়ে থেকেও
যেন মনে হলো অন্তরের গভিরে
লুকিয়ে রাখি দুজন দুজনকে।
অনেকদিন পর আমাদের দেখা............
সেই যে আমি আকাশ থেকে ঝড়ে পড়েছিলাম
আর যাওয়া হয়নি মেঘের কাছে।
মেঘ একবুক আশা নিয়ে আমার প্রশ্ন করলো-
“তুই কবে ফিরবি ?”
আমি আস্তে আস্তে ওর বাঁধন ছেড়ে দিলাম,
শক্ত করে হাতদুটি ধরে বললাম,
“ধৈর্য ধর্, আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী।
সূর্যের উত্তাপ বৃদ্ধি পেলেই
আমি তোর কাছে উড়ে যাবো।
তুই তো বৃষ্টির মেঘরাজ,
আমরা কি খুব বেশিদিন
কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারি?
আবার আমরা নীলের দেশে ঘর বাধবো,
অনেক ভালবেসে পাশাপাশি-কাছাকাছি থাকবো।”
একটা দীর্ঘনি:শ্বাস মেঘের বুক থেকে বেড়িয়ে
আমার চারপাশের পরিবেশটা ভারি করে তুলল।
আমার হাত ছেড়ে সে এগিয়ে গেল,
আমি স্থির হয়ে শক্ত মাটিতে দাড়িয়ে থাকলাম,
ওর চলে যাওয়ায় আমার বুক কষ্টে ভারি হয়ে উঠল,
দু’চোখ জলে ঝাপসা হয়ে এলো-
আস্তে আস্তে মেঘ আমার ক্ষীণ দৃষ্টির বাইরে চলে গেল
আমি আবার হাটতে শুরু করলাম............................।।
07.03.2015


বৃষ্টিকাব্য-মিনু কোড়াইয়া বৃষ্টিরানী