নন্দিনী, তোমায় মুক্তি দিলাম
উড়ে যাও আপন বনে
ফিরে না আসো, দেখে যেও শুধু
যদি কোনোদিন পড়ে মনে ।।
তোমাকে আমি দেইনি কিছুই
তাই সরায়েছ হাত যতনে
এতটুকু সাধ মেটাতে পারিনি
তাই কেঁঁদে গেছ গোপনে।।
নন্দিনী বলে বনের পাখিরা
ডেকে ডেকে গেছে ফিরে
বাড়াওনি পা, তাকাওনি ফিরে
শুধু সংসারে ছিলে পড়ে ।।
একদিন তোমার যা কিছু ছিল
আর কি ফিরাতে পারি ?
সোনার নুপুর খোলে যতনে
পড়েছিলে দু পায়ে বেড়ি ।।
নন্দিনী আর করো নাকো দেরি
আলগা করেছি বাঁঁধন
আমার কথা রেখ না মনে
কত যে সয়েছ দহন ।।
আমার ঘরে এসেছিলে যেদিন
হাসি ছিল চোখে মিশে
সারাটি জীবন অবহেলা যেন
সব কেড়ে নিল শেষে ।।
তোমার পানে চাইনাই ফিরে
ফেলে গেছি বারে বারে
আজ সেই রূপ আমারে কাঁদায়
তোমারে ফিরাবার তরে ।।
যতদিন গেছে অবহেলা দিয়ে
ঝড়ায়েছি চোখে জল
আমার হাতের যত ব্যথা দান
নিয়েছো পেতে আঁচল ।।
কতদিন তুমি আকাশ দেখনি
দেখনি চাঁঁদের রূপ
সংসারকেই করেছো ধ্যান
পোড়ায়েছ কত ধূপ ।।
যে পথে তুমি চলে যাবে ফিরে
দেখবোনা সেপথ চেয়ে
আর তোমারে ফিরাবোনা ঘরে
বাঁধবোনা বেড়ি পায়ে ।।
যাবার বেলায় শুনে যাও শুধু
নাই যদি ভুলে মন
ফিরে এসো তবে, এইবার আমি
করবো তোমারে যতন ।।
২৭ নভেম্বর ২০১৬