নিঃশব্দ রজনীর অজস্র বেদনা
ঘুরে বেড়ায় আমার চারপাশে
ক্লান্ত দু’চোখে আসেনা ঘুম
অথৈ সাগরে স্বপ্নেরা ভাসে ।।


এখনও শিশির পড়েনি ঘাসে
কষ্টের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে
সবুজ বনানী প্লাবিত হয় দুঃস্বপ্নে
কম্পিত মন বেদনয় ভরে ।।


শ্রাবণ তো কবেই চলে গেছে
এখনও হৃদয়ে মেঘের গর্জন
শব্দেরা নিভৃতে কেঁদে মরে
বৃষ্টিতে ভিজে প্রভাতের কিরণ ।।


খোলে যায় বন্ধ ঘরের দরজা
কার যেন পায়ের শব্দ শুনে
জ্বলে ওঠে নেভানো বাতিগুলি
প্রতিজ্ঞায় থাকি দিন গুনে গুনে ।।


নীল বেদনায় মৌনতার ব্রত
পরিধান করেছি সমস্ত অন্তরে
জাগাবে কি ঘুম শব্দেরা এসে
নাকি পাষাণে থাকবে সুদূরে ।।


নদীর কূল ভেঙ্গে যায় স্রোতে
আছড়ে পড়ে ঘুমন্ত নগরী
নিরবে ভাসে বসতী আমার
তীর খুঁজে খুঁজে বেড়ায় তরী ।।


মেঘেদের শব্দে থেমে যায় কথা
সব সুর হারায়, শূণ্যতার তীরে
রাত্রি কাটে নীরব প্রতিক্ষায়
সেই গান ভোরে আসবে ফিরে ।।


আমার ঘরটি ভাসে লোনা জলে
অজস্র বেদনায় বুক হয়ে উঠে ভারি
বৃষ্টি চেয়ে চেয়ে দুচোখ ভাসে
ধূসর আকাশ, নেই মেঘের সারি ।।


ঘুম ঘুম চোখের ক্লান্ত চাহনী
গুমড়ে মরে ব্যাকুল বাসনায়
নিঃশব্দ রজনীর অজস্র কথারা
তোলপাড় করে গভীর বেদনায় ।।


কবে ফুরাবে তপসা আমার
বাজবে বাঁশি রাঙাতে এ প্রাণ
কবে জাগবে আকাশের তারা
বিদগ্ধ রজনীর হবে অবসান !!


১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬