পথের ধুলো জড়িয়ে যার যায় ফুরিয়ে বেলা
সেই মেয়েটির সব বসন্ত চৈত্র মাঘের মত;
বিষন্নতায় একলা কাঁদে একলা পুরায় সাধ
তবু বুকে আগলে বাঁচে রঙিন স্বপ্ন যত ।।


সুখ পাখিরা বেড়ায় উড়ে পায়না তারে ছুঁতে
মনের ভিতর গুমড়ে উঠে অচিন বাঁশির সুর;
সাঁঝের আগের দুচোখ জুড়ে নামে অন্ধকার
তবু মেয়ে বন্ধ ঘরে ডেকে আনে ভোর।।


কেউতো এসে ভালবেসে নেয়না তারে ডেকে
তবু মেয়ে হাত বাড়িয়ে থাকে আকাশ পানে;
বৃষ্টি এসে দেয় জুড়িয়ে পোড়া হৃদয় তার
বাউল হয়ে ঘরকে ছাড়ে নামে পথের টানে।।


ঝরা পাতার নূপুর বাজে ভাঙা উঠোনে পরে
তারই সাথে মেতে উঠে দুঃখ ভুলে রোজ;
রৌদ্র তাপে পুড়ায় দেহ, শুকায় যবে মালা
তবু মেয়ে ঝরাপাতায় ছবি আঁকে রোজ ।।


কেউ শোনেনা ব্যথার কথা কেউ রাখেনা খবর
কেউ জানেনা এই মেয়েটি হাসেও আবার কাঁদে ;
দূর আকাশে তারার সাথে নিত্য আলাপন
চাঁদের আলোয় মেঘের দেশে সুখের ঘরটি বাঁধে ।।


এই মেয়েটির ফুলের বাগান ঝড়ের সাথে দোলে
পাপড়ি সকল বিষন্নতায় পথের ধুলায় মিশে;
এ পথ দিয়ে যাও গো যদি একটু থেমো পথিক
সেই মেয়েটির খবর নিও একটু ভালবেসে ।।


১৬ মার্চ ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশে।