লতা-পাতায় জড়ানো ঘরে
মায়ের আঁঁচল পেতে
ঘুমিয়েছিলাম শান্ত নিবিড়ে
মাটির গন্ধে মেতে ।।


গাছের ছায়ে পথ হেটেছি
হয়েছি আমিও বন্য
সেই পথটি বুকে বয়ে চলে
পায়ে পায়ে আঁঁকে চিহ্ন ।।


সোনার গাঁঁয়ের শৈশব আজও
দু'চোখে স্বপ্ন মাখে
ঘুম ভাঙ্গাতে ভোরের পাখি
চেনা নাম ধরে ডাকে।।


গাঁঁয়ের পথটি ফেলে এসেও
তাকাই ফিরে ফিরে
মায়ের গন্ধ ছড়িয়ে থাকে
পথের মোড়ে মোড়ে।।


ছোট্ট ঘরের মাটির মায়া
হৃদয় থাকে জুড়ে
ইট পাথরের ঐ যে শহর
বাঁঁধবে কেমন করে !!


ইচ্ছে করে জলে ভেসে রই
শাপলা শালুক হয়ে
কাঁঁদামাটি মেখে যেন বাঁঁচি
সোনার গাঁঁয়ের মেয়ে ।।


২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ।