ভূখন্ডের গর্ভচিরে উদিল তপন
বিকশিত আলোকরশ্মি হেরিল নয়ন
বর্ষিল মানবকূলে প্রানের স্পন্দন
তাহার কথা আজ করিব বর্ণন ।।


জগতের যত আঁধার করিল নাশ  
সশব্দে মেঘরথে ভাসিল বালিহাঁস
বৃষ্টি বিলাসী নদী করিল উল্লাস
কেতন উড়িল ছুঁতে ঐ মহাকাশ ।।


পত্র পল্লবে ফুটিল শত ফুলদল
মোহিত সবাক তরু হয়ে উচ্ছ্বল
দিকেদিকে ধায় বায়ু বিশুদ্ধ নির্মল
হৃদয় বিহঙ্গ সুখে বাজায় করতল।।


সুনীল আকাশ ভেদি উঠিল তপন
মুছিল দুই চোখে নিশার স্বপন
শব্দের কথা কলি মেলিল নয়ন
রথে বসে গায় গীত ভানুর কিরণ ।।


উৎসবে সমারোহ ঘটে আঙ্গিনায়
আঁধার যামিনী আলোতে লুটায়
রধিকার তপোবনে জোৎস্না ছড়ায়
বাঁশরী নতুন গানে সুর খুঁজে পায়।।


সিন্ধ হাওয়ায় ভেসে হাসে ঝরাপাতা
দর্পণে দেখা হয় সূর্যের বারতা
কেটে যায় বৃষ্টিতে ধুধু নীরবতা
সচেজতায় ভরে থাকে কলমীলতা।।


পূবের আকাশ ফেঁড়ে জাগিল তপন
তার নামে কথা কয় মুনীঋষিগণ
দিবালোকে দেব নামে অতীব বরণ
তার ধ্যানে সদাবসে জপে তনুমন ।।


রচনা: ২৮ ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
১২ মার্চ, ২০১৮
ঢাকা বাংলাদেশ।