অনন্যা


মৃন্ময়


এক যে ছিল শ্যামলা মেয়ে
কাজল কালো চোখ,
ওই চোখেতে স্বপ্ন অনেক-
বড়ো হওয়ার ঝোঁক।


পড়ার সাথেই চলতো লেখা
মিষ্টি মনের ভাষায়,
সরল কিংবা জটিল বিষয়
দৃঢ় মসির ছোঁয়ায়।


ছোট থেকেই মেধাবী সে,
গুনে সরস্বতী।
আবেগপ্রবন কোমল হৃদয়,
সকল কাজেই মতি।


ক্যানভাসেতে পড়লে তার ওই
আলতো তুলির ছোঁয়া,
ছবির বিষয় বলতো কথা,
জীবন্ত সব কায়া!


গুঞ্জরণে গাইতো যখন
মিষ্টি কোনো গান ,
কান পাতলে আলতো করে,
ভরেই যেত প্রাণ।


ছোটোর সাথে করতো যখন
পড়া পড়া খেলা,
ভুলেই যেত শিক্ষয়িতা,
অদ্ভুত পাঠশালা!


সবার প্রিয় দিদিমণি
ওই যে শ্যামলা মেয়ে,
ভিন জগতে দিলো পাড়ি
হলো যখন বিয়ে।


শাখা পলা সিঁদুর মাথায়
পূর্ণ সে এক নারী,
নাড়ির টানে দেয় ধরা সে,
যাক না ভিটে ছাড়ি।


ওই মাটিতে হামাগুড়ি
বিদ্যের ভিত গড়া।
জীবনসাথীর খোঁজে এবার
অচেনার প্রেমে পড়া।


নতুন জীবন, অঙ্ক নতুন!
মন্দ ভালোর অচেনা গুন,
করবে সে জয় মনকে সবার
অনন্যা সে, ভীষণ নিপুন।


শ্যামল বরণ ওই মেয়ে আজ
সবার প্রিয় দিদিমনি।
শ্বশুরবাড়ির লক্ষী স্বয়ং,
সবার কাছেই আদরিণী।