চাঁদের বুড়ির খোঁজে


মৃন্ময়


আঁধার রাতে আকাশ পানে
চাই যখনই উদাস মনে,
দেখতে যে পাই চাঁদের বুড়ি
আশায় বসে প্রহর গোনে।


ডগমগিয়ে খুশীর আবেশ
ছড়িয়েছিলো প্রাণের মাঝে।
আসছে যে কেউ ধরার থেকে,
ওর বসানো হাঁড়ির খোঁজে।


নামার আগেই বিপত্তিটা!
এতটা পথ দিব্যি হাঁটা,
কি যে হলো বিক্রমটার
উৎসাহতে পড়লো ভাঁটা!


ধপাস করে পড়লো চাঁদে,
কিসের তাড়া কেই বা জানে?
যদিও সিভন বুঝিয়েছিলো
নামতে ওকে নিয়ম মেনে।


চাঁদের মাটির ধুলোর ঝড়ে
বিক্রমটা যায় বিগড়ে,
সংযোগটা কাটার পরেও
ইসরো দেখি আজও লড়ে।


বুড়ির খোঁজে আজও সিভন
নাওয়া খাওয়া মাথায় তোলে,
বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বসে
আশার শত কথা বলে।


বুড়ি ভীষণ কষ্টে আছে,
বিক্রমের ওই খবর শুনে।
ভেবেছিলো মনের কথা,
বলবে ক্ষিতির কানে কানে।


ওর থেকেও যে কষ্টে আছি
আমরা সবাই, ইসরো সাথে।
ধৈর্য্য ধরো চাঁদের বুড়ি,
সিভনরা সব আছে মেতে।


তোমার খোঁজে কত না রাত
অনিদ্রাতে কাটায় সবে,
তোমার সাথে কথার তরে
আমরা ব্যাকুল সবাই ভবে।


সংযোগটা লাগলে জোড়া
প্রজ্ঞানটার খবর মেলে,
হয়তো সে যে আছে ভালোই
টানছে হামা তোমার কোলে।


অপেক্ষা আর উন্মাদনা
বইছে শিরার প্রতি বাঁকে,
চাঁদের বুড়ি দিচ্ছি কথা-
দেব সাড়া তোমার ডাকে।


এবার যদি নাইবা পেলাম
তোমায় এমন প্রাণের কাছে,
সিভনরা সব তৈরি আবার
হয়তো কোন নতুন ধাঁচে।