হে যুবক পথ ভুলে কি আসিয়াছো
এই চারদেয়ালের ছোট্ট বদ্ধ গৃহকোণে
মুখ ফিরিয়ে চলেইতো যাবে ভিরু পায়ে
বেদনার বাণী সাঙ্গ করার সময় কি আছে
আজি হতে বিশ বছর আগে রাতের অন্ধকারে
বিধাতার অভিশাপ অথবা বিশৃঙ্খলার নিয়মে
আসিয়াছি যৌবতীদেহে এই পাপ আলয়ে
প্রতিটি শিৎকারে বাড়িত যে অন্ন আমার
যৌবতী দেহ দিয়েছি কত ভঙ্গিমায় বিকিয়ে
উনুনে সিদ্ধ হওয়ার মতো নরক যন্ত্রনা
নাহি লাজ লজ্জা সংশয় যাইনি তাই সিনানে
আমাকে তুমি চেয়েছো কামনার সৌন্দর্যে
অদ্ভুদ নারী সুলভ ভঙ্গিমায় সৌরভে গন্ধে
আঘাত করেছো তুমি জান কি কতোবার
আমার উন্মুক্ত বুক আর প্রতি অঙ্গে অঙ্গে
কি কামনা আর নব্য যৌন ভঙ্গিমা আমার
নিটোল দেহ কামদিপ্ত উন্মুক্ত সে চাহনি
কি নির্মম আমার উদর করেনি ক্ষমা
অন্ন যে তার স্বর্ণসম বাঁচিবার তরে।


হে যুবক পথ ভুলে কি আসিয়াছো
এই চারদেয়ালের ছোট্ট বদ্ধ গৃহকোণে
মুখ ফিরিয়ে চলেইতো যাবে ভিরু পায়ে
বেদনার বাণী সাঙ্গ করার সময় কি আছে
আমারে করিয়াছ ছিন্ন-ভিন্ন শক্ত দেহবলে
করিয়াছ স্নান দুধের অমৃত ঝর্ণাতে
তারপর কেহডাকে ভগবান কেহবা ঈশ্বরে
নত শিরে ভিরু মনো গিয়াছো গির্জাতে কিংবা
মন্দিরে নিষ্পাপ নিশ্চল মূর্তির পদতলে
পাপ মোচনের সেকি অদ্ভুদ করুন দৃশ্য
আর যেজন করেনি বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তাতে
সে জন খুজিয়াছে শিল্প আমার উলঙ্গ দেহে
নাহি ভয় অনুতাপ তৃপ্তি তোমার পুরো মনে
আর আমি অসহায় দুয়ের মাজে সঙ্গোপনে
আমার এ হিয়া বিষাদময় পাপী যৌন পাপে
যৌবতী দেহ আজ শোকে ক্লান্ত শান্ত ভগ্ন
অশান্তির বাসা আজ প্রতি রক্ত মাংসে
কি চাই এই জীবনে নাহি কোন চাহিদ
অন্ন চাই আমার নতুবা নরকের অগ্নিশিখা


হে যুবক পথ ভুলে কি আসিয়াছো
এই চারদেয়ালের ছোট্ট বদ্ধ গৃহকোণে
মুখ ফিরিয়ে চলেইতো যাবে ভিরু পায়ে
বেদনার বাণী সাঙ্গ করার সময় কি আছে
পার্থনা মাগি আজ কার কাছে কোন মুখে
আজি আস্তিক মনে জিঙ্গাসা বিধাতারে
বল বিধি জন্ম কি আমার আজন্ম পাপ
মৃত্যুতে কি মুছবে আমার শত আভিশাপ
কিংবা নাস্তিক মনে জিঙ্গাসা নিয়মে
কেন এতো উলট পালট এই ক্ষুদ্র অধমে
ইহাই কি ভোগ বিলাস আমার এই জীবনে
আজ বৃদ্ধ আমার বুকের মাংস পিন্ড
শীতল আমার সমস্ত শরীর ও নিওরণ
শিৎকারের আওয়াজ কেমন পরিত্যাক্ত
তাই যুবক হিংস্র হও না এই উন্মুক্ত দেহে
কি শান্ত সৃখ আমার প্রতিটি অঙ্গে অঙ্গে
দেহের জ্বালায় জ্বলে না মন উদর জ্বালায় জ্বলে
অন্ন দাও কথাদিলাম যৈবতী দেহ নইবা পেলে
যৈবতী মন নিলে নতুবা অগ্নি দাও এ অঙ্গে!!!!