প্রিয়তমা চিঠিতে লিখেছে-
ফাগুনের ধূলিমাখা দুপুর গুলোতে প্রেম জমেনা।
চোখ ভরেনা,মনের তৃপ্তি ও মেঠেনা।
এসব ভেলেন্টাইন্স ডে এর জনকোলাহল থেকে মুক্ত হয়ে এবার অঘোর বরষায় এসো।


দুপুর মানে শুধু রোদ নয়।
দুপুর মানে অঝর বৃষ্টি ও।


তুমি পৃথিবীর ছাঁদ রংয়ের পাঞ্জাবি,
আর আমি শাঁদা ব্লাউজ নীলা বারো হাত মাপের কাপড়ে,ঠোঁটে গোলাপী যৌনতা নিয়ে আসবো, ওয়ারসেমিট্রিতে মৃতদের হাহাকারে।
আর তুমি শাঁদা গোলাপ নিয়ে এসো।
অঝর বৃষ্টিতে ভিঁজতে ভিঁজতে চলে এসো।
আমি ভিঁজে ভিঁজে পাপড়িদলে আবদ্ধ হবো ফুলের কলির মতোন,
তুমি ছুঁলে'ই ফুঁটে যাবো।
ক্লান্তিহীন ভাবে ঠোঁটের গোলাপ ফুঁটাবো এই মৃতদের মাঠে।
গোটা পৃথিবীর সব জীবনকে মৃত ধরে নিয়ে,
প্রেমের সাক্ষী করবো ওয়ারসিমেট্রির সকল লাশ গুলোকে।
দুজনে প্রেমের দীর্ঘতম মিলনে মজে যাবো,আমি বুকের ছাতি দুটো খুলবো তোমার ছুঁয়া'ই।
তুমি আস্ত এক রসাবৃত পুরুষ আমার শরীর ছুঁ'বে।
আমি বড় বড় নিঃশ্বাসের ঢেউয়ে তোমার কূলে পৌছে যাবো।
ভেঁজা দেহতেও তোমার ছুঁয়া পেয়ে আগুন জ্বলবে।
তুমি তোমার চোখের,ঠোঁটের,দেহের তৃষ্ণা মেটাবে "আমি" ঝর্ণার গায়ে বসবাস করা সব জলাধারের জল দিয়ে।


দুজনে ভালবাসবো, মিশে যাবো,ভিন্নধারা এনে দিবো এই জগতে।
বসন্ত মানেই শুধু প্রেম নয়,
শুধু লাল হলুদে প্রেম আটকে থাকা নয়,
বরষার দুপুরেও প্রেম হয়,
নীল শাঁদাতেও প্রেম মিলে বেশ।


এই চিঠি পড়ে পড়ে আমি অপেক্ষার চেয়ার থেকে উঠে রাত বালিশের বিছানাতে  শুয়ে  মুচকি হেঁসে বলি,
পাগলি আমার লিখেছে নতুন সংবিধান।