কতোরাত আকাশে বসে পা দুলিয়ে প্রেম করেছি।
মেঘগুলোকে তুলোর মতো পৃথিবী নামক গহ্বরে যতোই ফেলতে চেয়ছি,ততোই উড়ে উড়ে ঈশ্বরের ঠিকানায় চলে গেলো।
তা দেখে কতো সূর্যদিন দুজনে অবাক হেসেছি।
তুমি এতোই ভালবাসতে যে আকাশের ছাদে বসে,
পা দুটো ঝুলিয়ে,দোলিয়ে আমার দিকে বাচ্চা হরিনীর চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে।
ধোয়াটে ধরনের চাঁদটার কথাতো মনে আছে?
এতো ধোয়াটে যে চাঁদটা প্রতি তিথিতে তোমার ঝলক এর জন্য তোমাকে পূজা দিতো।
আমরা অবশ্য তখন স্বর্গের দেবতা ছিলাম।
স্বর্গজুড়ে তো আমাদের নান্দনিক প্রেমের খবর সবার কাছে জানা।
মনেতো আছে?না থাকার কথাও না।
ঈশ্বর তার কতোবড় সভাতে আমাদের প্রেমোত্তর বরনসভার আয়োজন করেছিল।
ঈশ্বরতো সেদিন তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিল।
ঈশ্বর এতো এতো বাকা কাম চোখে থাকালো তোমারদিকে।
আমি সেদিন সভা প্রত্যাখ্যান করে তোমাকে নিয়ে চলে এসেছিলাম।
এরপরের দিন থেকেই আমরা পৃথিবীতে আবর্তিত হলাম।
আমি হলাম আদম আর তুমি হলে হাওয়া।
শুরুর দিন থেকে আজ এবং আগত সব দিনের যে ভালবাসা প্রজন্মান্তর বিরাজিত থাকবে,সব তো আমার তোমার ইতিহাস ও দৃষ্টান্তের ওপর অনুপ্রানিত হয়ে দ্বারা অব্যাহত রাখবে।
তুমি আমি ঈশ্বরের অভিশপ্ত নয়।
বরং আমি তুমি দুজনই ঈশ্বরকে অমান্য করে বুকের ভেতর ভালবাসা জমিয়েছি।