কবিতায় খুঁজি আমি ছন্দের আবহমান ধারা,
সেই ছন্দে আমার সবিতা দেয় প্রেমঘটিত সাড়া।
সবিতার নাম দিয়েছিলাম বসন্ত,
কেননা বসন্তেই জন্মে ভালোবাসার বৃন্ত।
একদা আমার বাসন্তীর সাথে
বসন্তের রমরমা এক প্রান্তে
শরীরে প্রেমের বীজ গেঁথে
হেঁটেছিলাম শেষের দিগন্তে।
আকাশের হলদে আভা
যেন তার চোখে প্রতিফলিত হয়ে,
দিগন্তের পানে এক প্রতিপ্রভা
দেয় যে আপনরূপে ছড়িয়ে।
তার হাসির তালে হেসেই
বুঝে নিতে পারি,
এই বুঝি বসন্তের হাওয়া এসেই
ঝাপটাবে তার হলদে শাড়ি।
সে এক বসন্তের বাসন্তীকন্যা,
তার গায়ে ছড়াবো কুরচি ফুলের বন্যা।
সে এক ভোলা প্রেমিকের সবিতা,
তার তরে লিখে যেতে পারি ছন্দহীন কবিতা।
সে তো কেবলই আমার ইউক্যালিপটাস,
যার খুশির জন্যে সহ্য করে গিয়েছি তুষারপাতের বাতাস।
ওহে বসন্ত, আমার ডাক শুনে
তবে কেন যাও গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের পানে?
আসো আমার মনভোলা তীরে,
তোমায় নিয়ে হাঁটবো আমি ফুলবাগানের ভীরে।