বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯ তম মহাপ্রয়াণ দিবস স্মরণে। কবির প্রতি আমার এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন...


বাইশে শ্রাবণ
কবি কনক প্রভা বকসী


বিশ্বকবির মহা প্রয়াণ দিবস বাইশে শ্রাবণ
এই প্রয়াণ দিবসে কবির বেদীতে
কোটি ভক্তের ফুলমালা অর্পণে শিক্ত
কলিকাতা জোড়াসাঁকো পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ
ভবনে ১৯৬১ সালে শুভক্ষণে জন্ম নিয়েছিলেন।।


পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মা সারদা সুন্দরী
এক ভগ্নি ১৪ ভ্রাতা,কবি ছিলেন ১৪ তম সন্তান
বিশ্বকবি নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন
১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।।


কবি বাইশে শ্রাবণ চলে গেলেও
তাঁর সাহিত্য ভান্ডার কবিকে অমর করে রেখেছে
পৃথিবী যতদিন আছে কবির সাহিত্য
ততদিন অমর হয়ে থাকবে ।।


তার জীবনের ব্যাখ্যা শেষ হবেনা
কবির বহু স্মৃতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে
নওগাঁ পতিসরের কাছারিবাড়ি
পাবনা শাহজাদপুরের কাছারি বাড়ি
কুষ্টিয়া শিলাইদহ কুঠিবাড়ি।।


কবি জীবিত অবস্থায় কাছারিবাড়িতে আসতেন এবং
নিজ হাতে তাহা পরিচালনা করতেন
১৯২২ সালে পতিসর থেকে শেষ বিদায় নিয়ে
যখন কলিকাতা চলে আসবেন।।


সেই মুহূর্তে একটি গান গেয়েছিলেন
"যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়ারতরী এই ঘাটে,"


বাইশে শ্রাবণ..সবাইকে মনে করিয়ে দেয়
আকাশ থেকে যেমন শ্রাবণ ধারা বয়
তেমনি কোটি ভক্তের চোখের জলেও আকাশের জলেও
স্রোত বয়ে যায়,ভুলে না কেউ এই বাইশে শ্রাবণ।।


কবির শেষ কথায়-
তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে,
হে ছলনাময়ী।।