অশোক বন লঙ্কায় অবস্থিত
যেখানে রামের পত্নীকে
লঙ্কার রাক্ষস রাজা রাবণ
হরণ করে এই অশোকবনে
লুকিয়ে রেখেছিলো।


রাম লক্ষণ হনুমান বানর
কেহই সীতাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না
অনেক চিন্তায় পড়লেন
হয়ে যাচ্ছিলেন দিশেহারা।


অবশেষে উদ্ধারের জন্য
যুদ্ধ করতে বাধ্য হলেন
যুদ্ধে জয়ী হয়ে রাবণের কাছে
জানতে চাইলেন।


সীতাদেবী কোথায় আছে..?
জানালেন অশোকবনে আছে
বনে হিংস্র জীব জন্তুর
মধ্যে খেয়ে না খেয়ে পড়ে ছিলো।


কোন অশুভ শক্তি তাকে
স্পর্শ করতে পারেনি
যখন সীতাকে অশোক বন থেকে
উদ্ধার করে আনার সময়,
জীবজন্তুরা রামের পা জড়িয়ে ধরে ছিলেন।


তাঁরা সীতা দেবীর প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছিলেন
উদ্ধার হওয়ার পর সীতার মনে শান্তি ছিল না
অগ্নিপরীক্ষা তার জীবনের একটি বিরাট ইতিহাস,
হলো অগ্নিপরীক্ষা।


ওখান থেকে চিরদিনের জন্য
সীতাদেবী পাতালে প্রবেশ করলেন
হলোনা স্বামীর সাথে আর
সুখের ঘর বাঁধা ।


রাবণের হাতে হরণ হওয়ায়
তার জীবনের সবকিছু কাল হয়ে দাঁড়ালো
পৃথিবীতে আসলে...!!
কার জীবনে কি হবে..?
তা কেবল সৃষ্টি জানেন।


শাস্ত্র কথা,
সীতা বড় সুন্দরী
তুমি হে রাম কালো,
তাই তো তোমাদের মিলন হয়নি;
তো ভালো।


রচনা কাল: ৩১-১০-২০২০
সময়: দুপুর ২:০০ টায়
দিনাজপুর