তোমায় লেখা আর একটি চিঠি, রেখো গোপনে, মনের কোনে


একটা সময় ছিল, প্রভাত আর গুধুলীকে অভিন্ন মনে হতো, গুলিয়ে যেত,
আসলে বলা ভালো,
গোধূলির বিদায়ী গন্ধ যেন প্রকট হয়ে আমার সকালের সুবাস চুরি করতো রোজ,
নিজের কাছেই নিজেকে ছলনাময় বানাতে বাধ্য হয়েছিলাম,
দিন যাপনের জন্য, লোক দেখানো বাঁচার তাগিদে,
রোজ সকালে পাখি ডাকতো, ভোর হতো
আমিও বাসা ছেড়ে বেরোতাম, পাখিদের ন্যায়
সন্ধ্যায় ফেরার টান ছিল কারো তন্ময় রূপ দেখবো বলে,
ঘরে ফিরে, অন্ধকারের ভয়ঙ্কর তাপে ঝলসে যেতাম রোজ
অতীতকে ভেবে ক্রোধে কাঁপতাম
কারণ সে কোনো রূপসীর স্তাবক-স্বরূপ জীবন উপহার দিয়েছিলো আমায় |


শিশুকালে অনুভব করেছি ভাইয়ের হাত ধরে,
সন্ধ্যার আকাশ দিগন্ত রেখা মুছে দিলে, নিজেকে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে মনে হতো


প্রবল ক্ষোভে, আমার জীবনের সব দিগন্ত মুছে দিতে চাইতাম
নিজের কাছথেকে দূরে যাবো বলে


হঠাৎ সেই ঝঞ্ঝার আকাশে, রং তুলি নিয়ে এলে অভিসারিনী তুমি
দিগন্ত রেখায় দিতে শুধুই আলোর ছটা  
তাই আমি, আমিতে আজ
সিঁদুরে রাঙানোর দুঃসাহস নেই আমার
তাই আমার দুষটুমি আর আদরের রঙে রাঙিয়ে নিও তোমার সিঁথি
আমার আমিকে উপহার তোমায়, চিরদিনের জন্য


১৮/০২/২০২০ এ  দুপুর ৩ টা ০২ মিনিটে লেখা