ছোট্ট গুল্ম, বৃহৎ বৃক্ষ হতে চেয়েছিলো একটি পাখির সাথে |
সেই একটি মিষ্টি পাখির কাকলীতে হাজার বলাকার শুভ্রতা এনেদিতো একদিন ,
তাই শাখা-প্রশাখার এতো বিস্তার আজ |
কাঠঠোকরা চিরকাল রংবেরঙের, দুস্টু পাখিও ভালো সিস্ দিতে জানে |
রংবেরঙের পত্র ধারণকারী শাখায় শাখায় কাঠঠোকরার ক্ষতের চিহ্ন |
ক্ষত শাখায় ভ্রমর গন্ধ শুকে ফেরে, বাসা বাঁধে না, পরজীবী ঠাঁই নেয় |
জীবনের কথা ভেবে ভেবে বৃহৎ বৃক্ষের বেদনা স্মিত হয়ে আছে রাতের শান্ত চিলের মতো |
পরজীবীর মাংসে একদিন ক্ষত ভরে যাবে,
পরজীবীর স্বল্পকালের আয়ুতে, নিজের সুন্দর হওয়া আর
কোনো ধনী ব্যাক্তির ড্রয়িং রুমের পাতাবাহার হয়ে ফিরবে |
পরজীবীটা নতুন করে বাচঁতে শিখবে, কিন্তু ক্ষত ত্বকে আর অঙ্গজ জনন হবেনা কোনো দিন,
শুধু ক্ষতস্থানের ঝরে যাওয়া কালো চামড়া আর কিছু নির্জীব কোষ নিয়ে
যুগের সাক্ষী থাকবে বৃক্ষের পদযুগল | তবুও চলতে হবে.......