ঋতু চক্রের কালের নিয়মে
আমি আসি আর যাই
কেহ  তো আমারে করে না বরণ
করে না অ্যাপায়ন
বৈশাখের তাপে দগ্ধ প্রকৃতি
বর্ষারানীরে খোঁজে
বজ্রঘোষনা করে সে আসে
বিজয় রথেতে চড়ে
দগ্ধ প্রকৃতি ধন্য হয়
তার অমৃত ধারার স্পর্শে
কদম, কেতকী,রজনীগন্ধায়
সুরভিত হয় মর্ত্য
বিদায়ের কালে রেখে যায় সে
আগমনীর সুর
সেই সুরের মধুর ধ্বনিতে
শরৎ আসে ধীরে
বিশ্বজননী তাহার সাথে
আসেন মর্ত্যধামে
শিউলি,কমল সার্থক হয়
মায়ের চরণ স্পর্শে
ক্লান্ত পৃথিবী সুনীল আকাশ
হিম ঝরা এক রাতে
হেমন্ত আমি ধীর লয়ে আসি
প্রকৃতি মায়ের কোলে
রাখে না তো কেহ আমার খবর
করে না তো আরাধনা
অনাহুত আমি আপনার মাঝে
আপনি রহি যে মগন
অভিমান ভুলে মুখ তুলে চাও
প্রতিটি গৃহের পানে
দীপাবলির মঙ্গল দীপ
তুমি আসলেই জ্বলে
তোমারি স্পর্শে শস্যকণায়
ধরিত্রী হয় পূর্ণ
তোমারি জন্য নবান্নতে
গৃহ হয় পরিপূর্ণ
মঙ্গল তুমি,পবিত্র তুমি
স্নিগ্ধ তোমার রূপ
ঘাসের আগায় ধানের শিষে
রাতের শিশির ঝরে
নীরবে তারা পথ চেয়ে থাকে
তুমি আসবে বলে।