বটগাছকে বাঁয়ে রেখে মেঠো পথে হেঁটে গেলে,
পৌঁছে যাবে আমার ছোট্ট গাঁয়ে।
গাছগাছালির ঘেরা টোপে আটপৌরে চেহারাতে,
শিরীষ, বকুল, কদম চারধারে।


নদীর ধারা, দিঘীর জলে পাখীদের ঐ মধুর সুরে,
বন্দী হয়ে নিজের মাঝে সবার সাথে তালে লয়ে,
উদাস করা মেঠো সুরে,
বিশ্ব মাঝে হারিয়ে যাওয়া আমার ছোট্ট গ্রাম।


শস্য কণা পূর্ণ হয়ে ফুল দেয় তার সুবাস ভরে,
মৌমাছিদের গুনগুনানি দোয়েল শ্যামার মধুর ধ্বনি,
খড়ি নদীর বারিধারায় গৌরো এসে এক হয়ে যায়,
সবাই মিলে পূর্ণ হয়ে সবার সাথে সবাই মিশে,
ভরে দেয় তার আঁচলখানি।


ভোরের রবির লালিমাতে লাজুক মেয়ে উঠে জেগে,
দক্ষিণ হাওয়ার ছন্দে তালে রয় মেতে সে আপন কাজে,
পশ্চিমের ঐ সাঁঝের আলো সন্ধ্যাতারা পথ চেনালো,
ঘরে ফেরার ডাক দিয়ে যায় চলে।


শান্ত মনে ক্লান্ত চোখে চেয়ে থাকে গগনপানে,
চাঁদ তারে দেয় উজাড় করে জ্যোৎস্না ধারায় সিক্ত স্নানে,
জ্যোৎস্না আলো মেখে গায়ে ঘুমিয়ে পড়ে লক্ষ্মী মেয়ে,
আপন হাতে যতন করে পরীরা তারে দেয় সাজিয়ে।


আপন গুনে পূর্ণ হয়ে মগ্ন সদাই মাগো তুমি
নিজের মাঝে জগৎ সেরা জননী আমার জন্মভূমি।