ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা,
বাড়ী, অফিস মিলেমিশে পঁয়তাল্লিশ মিনিটের সাময়িক বিরতি,
ফেরার পথে সব্জিওয়ালার সাথে চরম সংঘর্ষ,
অবশেষে জয়ী আমি, পঁয়তাল্লিশ টাকায় দুটো ফুলকপি।


জয়ের স্বাদ, উপভোগ করা শেষ হয় নি তখনও,
হঠাৎ পিঠে আলতো ছোঁয়া,
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের ন্যায় ঘাড় ঘুরে গেল-
একরাশ কামিনী ফুলের আমার উপর ঝড়ে পড়া।
অ...বি...নাশ...দা!


দেখে ভালো লাগল মুখচোরা লাজুক মেয়েটার কি চমকপ্রদ উন্নতি!
আকাশে নাম না জানা একই রকম দেখতে অসংখ্য তারা,
অবিনাশ দা বলতো ভূগোলে তুমি বড্ড কাঁচা, কিস্যু হবে না,
হয়ও নি কিছুই।
প্রত্যুত্তরে আমি, তবুও তো জিতলাম সব্জিওয়ালার কাছে।


চিকচিকে চোখে বোধহয় জল অথবা অন্যকিছু, অবিনাশদার আর্তি,
একবার নতুন করে সব কিছু ভাবা যায় না?
ধূমায়িত আকাশের একই রকম দেখতে অসংখ্য তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে আমার স্বগতোক্তি,
আমার নিজের জন্য রাখা সব সময়টুকু চিরদিন তোমার ছিল,আছে এবং.........


ট্রাফিক পুলিশের সবুজ আলোর সঙ্কেত,
আমি তাড়াতাড়ি রাস্তা পার হলাম,
কামিনী ফুলের সুগন্ধটুকু আমার চারপাশে পেলাম,
ঐ টুকু আমারই ছিল বোধহয়,
কি জানি!