আদিত্যের উদয়ের তখন কিছুটা বাকি
নীলিমা আদিত্যের অপেক্ষায় তার রূপের শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত,
আমার হাত রুটি সেঁকায় ব্যস্ত আর চোখ নীলিমার রূপে মুগ্ধ
রুটি সেঁকার গন্ধ আর নীলিমার পাগলামি সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল।


খোলা পুবের জানলা দিয়ে একটি বিবর্ণ প্রজাপতি এসে আমার উপর ভর করল
মৃদু হেসে বলি – বড্ড দেরী করে ফেললে হে,
আমার আর কোন হিল্লে তুমি অন্তত করতে পারবে না।
যে পথে তার প্রবেশ, সেই পথ দিয়েই তাকে ফিরিয়ে দিলাম,
তোমার ভুল করা স্বাভাবিক নীলিমার রূপে তুমিও আজ দিশেহারা।
যে কিশোরী তার প্রথম স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে যাও তার কাছে,
যাবার সময় নীলিমার থেকে একটু ফিরোজা আর সিঁদুর-লাল রঙে নিজেকে রাঙাও,
তোমার রঙয়ের বাহারে তার স্বপ্নকে রাঙিয়ে তোল।


নীলিমা এখন অনেক তরতাজা, স্বচ্ছতায় সম্পূর্ণ, লজ্জায় তাঁর সর্বাঙ্গ রক্তিম,
খুব ছোট থেকে আমার আর আদির মধ্যে চলত প্রতিযোগিতা,
কে আগে নীলিমাকে দেখবে – আমিই দেখতাম শুধুই দেখতাম...।


হে আদি, এই সভ্যতার শুভ স্তম্ভ,
তোমার আর নীলিমার মিলনচিত্র অক্ষয় হোক যুগে যুগে।
হে আমার প্রিয়তম, আমার আরাধ্য দেবতা,
তোমার সৃষ্ট এই সভ্যতার তুচ্ছাতিতুচ্ছ এক প্রাণীর -
গ্রহণ কর তার অন্তরের অন্তরতম রক্তিম ভালবাসা।