সকাল,দুপুর,বিকেল,সাঁঝে মোড়ের মুখে বাঁয়ে গলি,
একদঙ্গল দস্যি ছেলে, খেলে সেথায় লকোচুরি।
যাওয়া আসার পথের ধারে, মুখ চেনা যে সবার সাথে,
একদিন এক দস্যি ছেলে, মা বলে ডাকে পথের মাঝে।


ঘাড় ফিরিয়ে ঘুরে দেখি, হাসছে সে যে মিটিমিটি,
বলল আমার কেউ নেই যে, খেতে দেবে দুবেলা দুটি।
মা হওয়া যে স্বপ্ন আমার, আনন্দে তাই আত্মহারা।
মায়ে পোয়ে থাকব দোঁহে, ঘর যে আমার ছন্নছাড়া।


যখন তখন বায়না করে, চাইল সেদিন সিক্স পকেট,
আমার অত পয়সা কথায়? কিনে দিলাম সুতোর জ্যাকেট।
দুম করে সে ফেলল ছুঁড়ে, রইল বসে গাল ফুলিয়ে,
বলি বাছা আর পারি না, সবদিক যে ঠিক কুলিয়ে।


আমায় ছেড়ে হারিয়ে গেল, বুকুল বিথীর জঙ্গলে,
পাই না খুঁজে আর যে তাকে, দস্যি ছেলের দঙ্গলে।
শূন্য ঘরে রিক্ত মনে ক্লান্ত দেহে স্মৃতির ভার
ফিরে এল আমার ঋজু, বছর কুড়ি পর আবার।


মা বলে সে জড়িয়ে ধরে, বলল ফিরে এসেছি আবার,
চেয়ে দেখ তোমার ছেলে, মস্ত বড় ইঞ্জিনিয়ার,
ছানি পড়া ঝাপসা চোখে, অশ্রু আজ বাঁধন হারা,
ফিরে এলি প্রাণের মাঝে, আমার মনের ধ্রুবতারা।