হাঁটুমুড়ে লালু কাকা খায় ছাতু দুপুরে,
রুমঝুম রিনি নাচে সুর তুলে নুপুরে,
বর্ষার ঘোলা জলে ভেকদের কোলাহল,
তাই শুনে নিপু দিদির মন আজ চঞ্চল।


দেওয়ালেতে পিঠ দিয়ে শ্যাম পাঁড়ে খায় চিঁড়ে,
বেসুরে গায় দিনু তানপুরা যায় ছিঁড়ে,
শরতের নীলাকাশে মেঘ রোদে লুকোচুরি,
নীলু দাদা ফেরে বাড়ি মন তার ফুলঝুরি।


পিঁড়ি পেতে রাঘবন খায় বসে চচ্চড়ি,
সন্ধ্যায় নন্দিনী গায় গান ভোজপুরী,
হিমঝরা হেমন্তে আলোকের দীপাবলি,
ঠক ঠক কাঁপে নেরু গায়ে তার নামাবলি।


লালু, শ্যাম, রাঘবন এক নয় স্বভাবে,
কেউ বড় মুখচোরা কেউ খুব মিশুকে,
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে থাকে তারা পাশাপাশি,
বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যতে তারা বড় বিশ্বাসী।