অনন্ত সময় বয়ে চলেছে সভ্যতার সুলুক সন্ধানে
তার অফুরন্ত চলা যেন শেষ হয়েও শুরু হয়
পূর্বজদের কাছে কথা দেওয়া, প্রাণের স্পন্দনকে পরিস্ফুট করার
সূর্যোদয়ের আগেই চেনা গণ্ডী ছেড়ে তার উদাত্ত চলা
কিন্তু কোথায় সে!


চেনা পথ চেনা গান সব কিছু ছেড়ে সে হারায় অনন্তের মাঝে
চরণের ব্যাকুল করা চেনা অচেনা বাঁশির সুর
তার পিছু ডাকে।
কংক্রিটের জঞ্জাল, ধাতব লোহার উত্তপ্ত চাউনি সব কিছুকে সে অগ্রাহ্য করে,
মহাকালের পথে ঘুরে ঘুরে সে আজ পরাক্রমী আলেকজান্ডার
সোঁদা গন্ধে ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামে
লজ্জাবতীলতার মত বৃষ্টির ভীরু ভালোবাসা বিমোহিত করে
সে বোধহয় পারবে।


হঠাৎ দেখে ফেলা একমুঠো ভালোলাগা রোদ
মখমলের ঘাসের উপর গোটা দশেক গঙ্গাফড়িং-এর সতেজ দাপাদাপি,
বৃদ্ধ পঞ্চবটীর কোলে ঘুমিয়ে পড়া মেষশাবক,
এক ঝাঁক শুঁয়োপোকার একনিষ্ঠ উত্তরণের আন্তরিক সৎ প্রচেষ্টা,
খুঁজে পেল তার মোহনা
সে পারল অবশেষে।