কৃষ্ণকলি সজল মেঘের ডানায় মন উড়ে যায়
অলকাপুরীর গোপন গবাক্ষে,
যক্ষপ্রিয়ার চোখের জলে মেঘবালিকার করুণ স্নান,
আলুলায়িত কৃষ্ণচিকুর মেঘের গভীরতায় একাত্ম।


আষাঢ়ের নবধারায় কদম, কেতকীর অবগাহন,
ভুঁইচাঁপা, গন্ধরাজের সৌরভে আমোদিত অলিকূল,
উত্তপ্ত প্রকৃতি ভারমুক্ত নব সুধারসে।


আলতো স্পর্শে যক্ষপ্রিয়ার চোখে বিদ্যুতের চমক,
নিঃস্তব্ধ নিঝুম সন্ধ্যায় এ কোন অতিথি তারি সমুখে!
এলাম সখী, সখা তব, যৌবনের প্রতীক আমি নব মেঘদূত।
ধরণী শান্ত হয়ে উঠবে নবসাজে নববধূর সজলতায়।


তোমার ব্যাকুলতা আমার রসধারায় মিলেমিশে হবে এক বিরহগাঁথা।
তোমার নীরব ব্যাথা বিরহী কবির বাণীতে প্রস্ফুটিত,
বিদায় বেলায় মনের গভীরের সবটুকু উজাড় করে দেব তোমার মননে,
নিঃস্ব হয়ে যাবো ফিরে,
পরম তৃপ্তিতে তুমি পথ চেয়ে রবে তোমারই প্রিয়তমর।