সুবেশা তরুণী, ফুলের সৌরভ, ধূপ ধূনোর সুগন্ধ,
জগতের আনন্দযজ্ঞে সবাই সামিল,
কাঁচের চুড়ির রিনরিনে আওয়াজে তারই প্রতিধ্বনি,
মৃন্ময়ী চিন্ময়ী রূপে না চিন্ময়ী মৃন্ময়ী রূপে বিরাজিত,
অধরা ফুলের মতই তা অনিশ্চিত।


সুচারু মণ্ডপে চকিতে চেয়ে দেখি,
বড্ড বেমানান এক শ্যামাঙ্গী।
তার তৃতীয় নয়নের অঘোষিত অভিযোগ,
সব আয়োজনকে করে বিদ্রুপ।


হিমেল ভোরে এই তো আমার সেই হৈমবতী!
সহসা তার কাছে গিয়ে স্বগতোক্তি,
উমাদের অপেক্ষায় আজোও যে মেনকারা পথ চেয়ে।
পরিপূর্ণ দৃষ্টি মেলে সে আমার পানে,
এই কি সেই অকাল বোধনের একশত আট পারিজাত!
পাঁপড়ি বেয়ে ঝরে পড়ে অনন্ত সময়ের জমে থাকা শিশির বিন্দু।


হৃদয়মাঝে সযত্নে ধরে রাখা মাতৃ ওমের বিশ্বাসে,
তাঁর হাত ধরে সামিল হই আনন্দময়ীর মিলনবাসরে।