একাদশীর আহত চাঁদের নিভু নিভু আলোয় আবার এসে দাঁড়াই,
সেই চেনা পথের অচেনা বাঁকে।


বালুচরি শাড়ীর খসখসে আওয়াজ;
নুপুরের ঝুমঝুম সুর;
তোমার সেই আঁজলা ভরে মালঞ্চ নদীর জল ছেটানো;
এক এক করে সবাই তারা আমার সামনে দাঁড়ায়।
নিভৃত শরীরের আঁতিপাঁতি খুঁজে দেখা,
পরম যত্নে সবটুকু জৈবিক সুখের নিষ্পেষণ,
ক্লান্ত শুকতারার নিঃশব্দে সরে যাওয়া,
পুবের আকাশে মুঠো মুঠো ছড়ানো আবীর,
পরম তৃপ্তিতে তোমার ফিরে যাওয়া।


আমারই যত্নে লাগানো কাঞ্চন ফুলগুলোর সপ্রতিভ প্রকাশ;
তোমার উন্মাদনাকে আজো ফিরিয়ে দেয় আমার কাছে।


ঠিক এইখানেই ওরা রেখেছিলো তোমার নিথর দেহ,
তোমারই অস্থিমজ্জায় বেড়ে উঠা তোমারই প্রিয় গাছ,
ওরা আজোও আমারই আদর চায়।