নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় জোছনার আপন বাহার।
হেমন্তের স্বচ্ছ আকাশের পূর্ণচাঁদ বিলিয়ে দিচ্ছে তার সবটুকু লাবণ্য।
ঠিক এমনি রাতেই কি শ্রীমতি চলেছিলেন,
ভগবান বুদ্ধের পাদপদ্মে;
তাঁর শ্রদ্ধার শেষ প্রদীপ জ্বালাতে।


আমিও আজ বেড়িয়ে পড়ি, সব বন্ধনের বেড়া ডিঙিয়ে,
শিশির সিক্ত হিমেল হাওয়া আমার চলার পাথেয়,
আজও কেন প্রতি সন্ধ্যা কার প্রতীক্ষায় থাকে মৌন?


আদিগন্ত খোলা মাঠ, কাশফুলের মোহময় শুভ্রতা,
স্ফটিকস্বচ্ছ স্রোতস্বিনীর মুক্ত অমৃতধারা,
একাকিনী আমি কোথায় চলেছি কার আবাহনে!


হে পবিত্র তাপস তোমার করুণাঘন অস্তিত্ব আমি পাই,
এই প্রকৃতির প্রতিটি সজীব ও নির্জীব সত্বার মাঝে।
তোমার অসীমের মাঝেই যেন পাই আমার আত্মার সব চাওয়া পাওয়া।